২৩ অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার, ১১:১৮ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
পুলিশ জানিয়েছে, সুইডেনে পালানো বাংলাদেশি এক সন্ত্রাসী জাহিদুল ইসলাম ওরফে নাহিদের নির্দেশে বনানীর একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক সিদ্দিক হোসাইন মুন্সিকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে, চাঁদার জন্য ছাত্রদল ও যুবলীগের কিছু নেতা ওই ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেন। বনানীতে সিদ্দিকের রিক্রুটিং এজেন্সির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় তারা।
আলোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের কারণ নিয়ে বছর পেরিয়ে গেলেও সন্দিহান সিদ্দিক মুন্সির পরিবার। সিদ্দিকের জামাতা আবু হানিফ বলেন, হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনও তারা অন্ধকারে আছেন। চাঁদা নয় শ্বশুরকে খুন করা হয়েছে বললেও হামলাকারীরা ক্যাশবাক্সে তিনলাখ টাকা থাকলেও তা নেয়নি।
২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর রাতে বনানীর বি ব্লকের ৪ নম্বর সড়কের ১১৩ নম্বর বাড়ির নিচতলায় জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এস মুন্সি ওভারসিজে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালান। এতে সিদ্দিক মুন্সি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানায়, সিদ্দিক হত্যায় গ্রেফতর হওয়া হেলাল উদ্দিন, জাকির হোসেন, আরিফ হোসেন, নুর আমিন ও ইয়াসিন কারাগারে আছেন। জাকির ও ইয়াসিন ছাড়া অন্য তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. গোলাম সাকলায়েন বলেন, হত্যাং সম্পৃক্ততা পাওয়ায় সুইডেনে অবস্থানরত জাহিদুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র চূড়ান্ত হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় ইয়াসিন ও ডিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত চারজনকে অব্যাহতির জন্য আদালতে সুপারিশ করা হচ্ছে।
সন্ত্রাসীরা চাঁদার জন্য সিদ্দিক মুন্সিকে ভয় দেখাতে গিয়ে গুলি করে মেরে ফেলেছে বলে জানান মামলার তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা ডিবির উপকমিশনার মশিউর রহমান।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।