১৭ মে ২০১৭ বুধবার, ০৭:৩৯ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
জব্দ করা ৪৯৮ কেজি (প্রায় সাড়ে ১২ মণ) সোনার কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ।
বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বাবার প্রতিষ্ঠান আপন জুয়েলার্স থেকে জব্দ করা সোনার বিষয়ে বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মইনুল খান।
মইনুল খান বলেন, এ বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের বৈধ সরবরাহের কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ। তারা বৈধ কাগজ দেখানোর জন্য সময় চেয়েছেন। আমরা সময় দিয়েছি।
শুল্ক ও গোয়েন্দার দল আপন জুয়েলার্সের গুলশান, উত্তরা, মৌচাক ও সীমান্ত স্কয়ারসহ বিভিন্ন শাখায় অভিযান চালিয়ে ৪৯৮ কেজি স্বর্ণ ও ডায়মন্ড ব্যাখ্যাহীনভাবে মজুদ রাখার অভিযোগে জব্দ করে। গুলশানের সুবাস্তু টাওয়ারে আপন জুয়েলার্সের একটি শাখা বন্ধ পাওয়ায় সেটি সিলগালা করে দেয়।
তিনি বলেন, জব্দ করা ৪৯৮ কেজি স্বর্ণের মধ্যে এক কেজিরও বৈধ কাগজ তারা দেখাতে পারেনি। বৈধ কাগজ না দেখানো মানে আমাদের অনুসন্ধান ও তথ্য সত্য বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। অর্থাৎ ডার্টিমানি ও চোরাচালনের অভিযোগ সত্য বলে প্রাথামিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
বৈধ কাগেজ দেখাতে তাদের ২৩ মে পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদ শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদফতর থেকে বের হয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘৪০ বছর ধরে সততার সঙ্গে ব্যবসা করে আসছি। কোনো অবৈধ জিনিস (স্বর্ণ-হীরা) আমাদের দোকানে নাই।’
তিনি বলেন, ‘শুল্ক গোয়েন্দাদের অধিকার রয়েছে আমাদের দোকান সার্চ করার। তারা আমাদের স্বর্ণ ও ডায়মন্ড জব্দ করেছে। আমরা পেপার্স শো করব। সময় নিয়েছি। এ বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।