১৬ এপ্রিল ২০১৭ রবিবার, ০৩:৩৩ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
রাজধানীতে রোববার বাস সংকটে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সকাল থেকেই যাত্রীরা রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বাসের দেখা পাচ্ছেন না। অনেকক্ষণ পর পর দু-একটি বাস চলাচল করছে। যে কয়েকটি বাস চলছে, তাতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকালে বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ডে অফিসগামী মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। বাস না পেয়ে অনেকেই হেঁটেই ছুটেন গন্তব্যে। কেউ কেউ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই রিকশা-সিএনজি অটো রিকশায় উঠে পড়েন।
রোববার ঢাকায় `সিটিং সার্ভিস` `স্পেশাল সার্ভিস` ও `গেট লক` বাস বন্ধে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ও সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি অভিযানে অনেকেই বাস রাস্তায় নামাননি। ফলে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে রোববার সকাল থেকে এ অভিযান তদারকিতে কাজ করছে পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া কাজ করছে মালিকদের পাঁচটি ভিজিলেন্স টিমও।
শনিবার রাজধানীর এলেনবাড়িতে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান জানান, আইন অনুযায়ী সব বাস গণপরিবহন হিসেবে চলাচল করবে। এ ছাড়া সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় করা যাবে না। বাসে ভাড়ার তালিকা থাকতে হবে। নারী, শিশুদের জন্য আসন সংরক্ষণ করতে হবে। অবৈধভাবে সংযোজন করা আসন, অ্যাঙ্গেল, বাম্পার, ক্যারিয়ার ও হুক অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় পড়তে হবে শাস্তির মুখে।
বিআরটিএ চেয়ারম্যানের ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার থেকেই সব বাস গণপরিবহন হিসেবে চলাচলের কথা থাকলেও তা কার্যকর হয়নি।
গত ৪ এপ্রিল ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, গণপরিবহন মালিকরা আর `সিটিং সার্ভিস` চালাবেন না।
পরিবহন আইন ও রুট পারমিটের শর্ত লঙ্ঘন করে গত দুই যুগ ধরে রাজধানীতে `সিটিং সার্ভিস`, `স্পেশাল সার্ভিস` ও `গেট লক` নামের বাসের দৌরাত্ম্য চলছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।