facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

যে কারণে পিছিয়ে দেশি কোম্পানি


০৫ আগস্ট ২০১৮ রবিবার, ০৮:০৮  এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


যে কারণে পিছিয়ে দেশি কোম্পানি

 

দেশে ব্যবসারত বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ব্যবসায়িক দক্ষতার পাশাপাশি হিসাব-নিকাশে স্বচ্ছতায়ও এগিয়ে। তারা একদিকে সরকারকেও কর দেয়, আবার শেয়ারহোল্ডারদেরও ভালো লভ্যাংশ দেয়। স্থানীয় কোম্পানিগুলো হিসাব প্রতিবেদনের স্বচ্ছতা, লভ্যাংশ ও কর প্রদানে পিছিয়ে আছে। দেশের অনেক কোম্পানিই এখনো একাধিক হিসাব প্রতিবেদন তৈরি করে। তাদের প্রত্যেককেই যথাযথ কর প্রদানে এগিয়ে আসতে হবে। শনিবার রাজধানীতে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

সিপিডি সেমিনার অন ফিন্যান্স অ্যাক্ট-২০১৮ ও জাতীয় বাজেট ২০১৮-১৯ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এনবিআরের সদস্য (করনীতি) কানন কুমার রয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন— আইসিএসবির কাউন্সিল সদস্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সাব-কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ, এফসিএস।

সর্বশেষ ফিন্যান্স অ্যাক্ট ও জাতীয় বাজেটের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনায় তিনটি আলাদা নিবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিএসবির সদস্য সাধন চন্দ্র দাস এফসিএ, এফসিএস। মনোনীত আলোচক হিসেবে পর্যালোচনামূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের সদস্য ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের কোম্পানি সচিব মো. আজিজুর রহমান এফসিএস ও অধ্যাপক ড. ফিরোজ ইকবাল ফারুকী।

জাতীয় বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনাকালে মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ ব্যক্তিখাতের সর্বোচ্চ আয়কর হার ৩০ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা এবং ব্যক্তিগত সম্পদে সারচার্জ প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি আরো বলেন, আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর ধারা ১৭৪ ও রুল ৩৭ এ চার্টার্ড সেক্রেটারিদের ইনকাম ট্যাক্স প্র্যাকটিশনার (আইটিপি) হিসেবে কাজ করার যোগ্য উল্লেখ করা হলেও তারা সেটি পারছেন না। অথচ এনবিআরের বার্ষিক রাজস্বের অন্তত ৩০ শতাংশই এমন প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আসছে, যেগুলোর সঙ্গে আইসিএসবির সদস্যরা প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। তাই আইসিএসবির সদস্যরা যাতে আইটিপি ও মূসক এজেন্ট হিসেবে কাজের সুযোগ পান— এমন পদক্ষেপ নেয়ার জন্য এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে অনুরোধ জানান তিনি। এনবিআর চেয়ারম্যান আগামী বাজেটের আগে বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় বাজেট ও ফিন্যান্স অ্যাক্টের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন আইসিএসবির সদস্যরা। এ সময় অনেক চার্টার্ড সেক্রেটারি, বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের কোম্পানি সচিব, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী ও করপোরেট নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত আইসিএসবি দেশে সেক্রেটারিয়াল পেশার বিকাশ ও উন্নয়নে কাজ করে। এ সম্পর্কে ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি সদস্যদের পেশাগত উন্নয়নেও নানা ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তারা।

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: