facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৭ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

বনানীতে ধর্ষণ : সাফাত ও সাদমানের স্বীকারোক্তি


১৮ মে ২০১৭ বৃহস্পতিবার, ০৩:৫০  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


বনানীতে ধর্ষণ : সাফাত ও সাদমানের স্বীকারোক্তি

রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ ও আরেক আসামি সাদমান সাকিফ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে তারা আদালতে জবানবন্দি দেন। ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবিব সাফাতের জবানবন্দি এবং হাকিম ছাব্বির ইয়াসির আহসান চৌধুরী সাদমানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এর আগে সাফাত ও সাকিফকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইসমত আরা এমি।

মিন্টো রোডের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে বুধবার সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলীকে সাফাত ও সাকিফের মুখোমুখি করা হয়। সাফাতের দেওয়া তথ্য যাচাইবাছাই করতে তাদের মুখোমুখি করা হয়।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলেছে, বিল্লাল ও রহমতের কাছে বনানীর হোটেল ওই রাতের ঘটনার বর্ণনা শোনা হয়েছে। তাদের বক্তব্য সাফাত ও সাকিফের বক্তব্যের পাশাপাশি ভিকটিমদের অভিযোগের সঙ্গে মিলিয়ে যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। বিল্লালকে ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও এবং রহমতকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ভিকটিমদের বন্ধুকে ভয়ভীতি দেখানো এবং তাদের বাসার সামনে মহড়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিল্লালের কাছে ভিডিও রেকর্ড চাওয়া হলেও সে ভিডিও করার কথা অস্বীকার করে দাবি করেছে, ওই রাতে জোর জবরদস্তি কিছু হয়নি। দুই তরুণী স্যারের (সাফাতের) ঘনিষ্ঠ। এখন তারা ফাঁদে ফেলতে মামলা করেছেন বলেও বিল্লাল দাবি করেন। তাদের পৃথকভাবে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ঢাকা মহনগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মো. আবদুল বাতেন বুধবার বলেছেন, বনানীর ধর্ষণ মামলার তদন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে। মামলাটি পুলিশের উইমেন সার্পোট সেন্টারের অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ তদন্ত করছে। ঘটনার তদন্ত কার্যক্রমে সহায়তার জন্য ডিএমপি কমিশনার উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটিও গঠন করে দিয়েছেন। আমিও সেই কমিটির সদস্য। মো. আবদুল বাতেন বলেন, দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। এখন সেগুলো যাচাইবাছাইয়ের কাজ চলছে।

গত ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই তরুণী। ওই ঘটনায় গত ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় অভিযুক্ত সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, বিল্লাল ও আজাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা। পরে গত ১১ মে রাতে সিলেট থেকে অভিযুক্ত সাফাত ও সাদমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ সদরের বিশেষ টিম ও সিলেট পুলিশ। সাফাতকে ছয়দিন সাদমানকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন মুখ্য মহানগর হাকিম। গতকাল ছিল রিমান্ডের পঞ্চম দিন।

সাফাত আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে। সাদমান সাকিফ রেগনাম গ্রুপের মালিকের ছেলে এবং ওই গ্রুপের পরিচালক। সাফাতের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায়। তার নানার বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের নগরগ্রামে। ধর্ষক নাঈম আশরাফ ওরফে আবদুল হালিমকে তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থেকে বুধবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার ৯ দিন পর সোমবার রাতে ঢাকার নবাবপুর রোডের একটি হোটেল থেকে বিল্লালকে এবং গুলশান থেকে রহমতকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: