facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

উল্লম্ফন রপ্তানি আয়ে


০৭ নভেম্বর ২০১৮ বুধবার, ০৮:৫৬  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


উল্লম্ফন রপ্তানি আয়ে

 

চলতি অর্থবছরের (২০১৮-১৯) একক মাস হিসেবে অক্টোবরে দেশের পণ্য রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩০.৫৩ শতাংশ। এ সময় আয় হয়েছে ৩৭১ কোটি ১১ লাখ ডলার। এই আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩২.৬৮ শতাংশ বেশি। এ সময় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ২৮৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। গতকাল মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পাঠানো পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এদিকে সার্বিক রপ্তানি আয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের (জুলাই-অক্টোবর) চার মাসে আয় হয়েছে এক হাজার ৩৬৫ কোটি ১৭ লাখ ডলার। এই আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২.৫৭ শতাংশ বেশি। এ সময় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় এক হাজার ২১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আর গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এ আয় ১৮.৬৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের এই সময় আয় হয়েছিল এক হাজার ১৫০ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।

খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, তৈরি পোশাক খাতের উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণেই চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই দেশের রপ্তানি খাত ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া অর্থবছরের প্রথম মাসে পোশাক খাত তিন হাজার কোটি ডলারের রপ্তানি মাইলফলক তৈরি করে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে তৈরি পোশাক থেকে রপ্তানি আয় এসেছে এক হাজার ১৩৩ কোটি ৩১ লাখ ডলার, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। ওই অর্থবছরের এ সময়ে এ খাতে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৯৪৩ কোটি ৭৭ লাখ ডলার।

এ ছাড়া নিট পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭.৮৩ শতাংশ। আয় হয়েছে ৫৫৭ কোটি ৫২ লাখ ডলার। এ আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি। ওভেন পোশাকে আয় হয়েছে ৫৪৫ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। এ আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬.১৩ শতাংশ বেশি।

জানতে চাইলে বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, বিশ্ববাজারে ক্রেতাদের আস্থা ফিরেছে। এই আস্থা দেশের পোশাক ও সরকারের প্রতি। এ ছাড়া রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশ ও কারখানার মান উন্নয়নে উদ্যোক্তাদের কঠোর পরিশ্রমে এ সাফল্য বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি আমাদের আশ্বস্ত করছে। এ সময় ৩০ বিলিয়ন ডলার মাইলফলক অতিক্রম করতে পেরেছি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত সুখবর।

অন্য প্রধান রপ্তানি খাতগুলোর মধ্যে ভালো আয় হয়েছে। কৃষিপণ্যে ৩৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮০.৩৭ শতাংশ। ওষুধ চার কোটি ৩৩ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৪.৬৭ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্যে তিন কোটি ৯৬ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩.১৪ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হলেও চামড়ার জুতা রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২১ কোটি ৬১ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্যে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা এবং প্রবৃদ্ধি দুটিই নেতিবাচক।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: