facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

ঈদের দিন কেটেছে ক্ষুধার জ্বালায়


০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রবিবার, ১২:০২  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


ঈদের দিন কেটেছে ক্ষুধার জ্বালায়

জীবনে এই প্রথম খোলা আকাশের নিচে কোরবানির ঈদ কাটাচ্ছেন রোহিঙ্গাদের একজন সৈয়দ করিম (৫৫)। ঈদের নামাজও তার পড়া হয়নি। ছেলেমেয়েরা ক্ষুধার জ্বালায় কান্নাকাটি করছে।

সেতারা বেগম নামে আরেক রোহিঙ্গা জানান, ঈদের দিনে আশ্রয়ের আশায় টেকনাফের পথে পথে ঘুরেছেন হচ্ছে। সকালে ছেলেমেয়েরা কলা আর বিস্কুট খেয়েছে। দুপুরে মুখে দেওয়ার মতো কিছুই নেই। মিয়ানমারের সেনারা ঈদের আনন্দ মাটি করে দিয়েছে। তাঁরা আরাকানের মুসলমান। এখন যেটাকে ‘রাখাইন রাজ্য’ বলা হচ্ছে, সেটি আসলে ‘আরাকান রাজ্য’। সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হয়ে আরাকানের মুসলমানদের জন্মভূমি ছাড়তে হচ্ছে। আর ‘রোহিঙ্গা’ বলে হেয় করা হচ্ছে। সব জায়গাতেই তাঁরা পরিস্থিতির ‘শিকার’ বলে দাবি তাঁর। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ঢুকতে এখন রোহিঙ্গাদের কেউ বাধা দিচ্ছে না। যানবাহনে চড়ে এদিক-সেদিক যেতেও সমস্যা হচ্ছে না। সমস্যা শুধু মাথা গোঁজার ঠাঁই ও খাওয়াদাওয়া।

টেকনাফের পথে পথে এখন রোহিঙ্গা আর রোহিঙ্গা। শাহপরীর দ্বীপ-টেকনাফ সড়কে লাইন ধরে হাঁটছেন রোহিঙ্গারা। কেউ যাচ্ছেন উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরের দিকে। কেউ কেউ ঢুকে পড়ছে গ্রামে। তারা আশ্রয় নিচ্ছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঝোপজঙ্গলে। অসহায় বলে স্থানীয়রা রোহিঙ্গাদের প্রতিরোধ অথবা বাধা দিচ্ছেন না। আজ টেকনাফের প্রতিটা ঈদের জামাতে বিপদাপন্ন রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। নিন্দা জানানো হয় মিয়ানমার সরকারের কর্মকাণ্ডের প্রতি।

বেড়িবাঁধের ওপর বসা রাখাইন রাজ্যের বুচিদং এলাকা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা কামাল আহমদ (৪৫), মনিরা বেগম (৫০) ও রহিম উল্লাহ (৪৮) বলেন, গত কোরবানির ঈদে রাখাইন রাজ্যে ৩০টির বেশি রোহিঙ্গা–অধ্যুষিত গ্রামে কয়েক শ পশু জবাই হয়েছিল। এবার একটিও হয়নি। মিয়ানমারের সেনা ও পুলিশ রোহিঙ্গাদের গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। গৃহপালিত পশুসহ সব মালামাল লুট করেছে। রোহিঙ্গাদের কষ্টের ঈদ কাটছে বাংলাদেশের পথঘাটে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: