facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

৭ কোম্পানি পরিদর্শন করবে ডিএসই-সিএসই


২৭ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার, ০১:১৪  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ার বিজনেস24.কম


৭ কোম্পানি পরিদর্শন করবে ডিএসই-সিএসই

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৭টি কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে সশরীরে পরিদর্শনের অনুমতি পেয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) কর্তৃপক্ষ। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুমতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সশরীরে এই পরিদর্শন কার্যক্রমে আর্থিক সক্ষমতার পাশপাশি কোম্পানিগুলোর উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম যাচাই করা হবে। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ আলোচনা করে আলাদাভাবে কোম্পানি পরিদর্শ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। স্টক এক্সচেঞ্জের পরিদর্শন সংক্রান্ত প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ‌্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হলো, নূরানি ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, কাট্টালি টেক্সটাইল ও আমান ফিড।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, সশরীতে পরিদর্শনের অনুমতি পাওয়া কোম্পানিগুলোকে নিয়ে অনেক গুজব রয়েছে। ওই গুজবের সত্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্য সশরীরে কোম্পানিগুলো পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ডিএসই ও সিএসই’র আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তালিকাভুক্ত ৭টি কোম্পানি পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেগুলেশন, ২০১৫-এর রেগুলেশন ৫৪(১) অনুযায়ী কোম্পানিগুলোর সার্বিক অবস্থা পরিদর্শন কার্যক্রমে দেখভাল করা হবে। কোম্পানিগুলোর পরিদর্শন কার্যকম সম্পন্নের পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিল করতে হবে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পরিদর্শেনের অনুমতি পাওয়া ৭টি কোম্পানির আর্থিক অবস্থা ২০১৬ সালের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে অবনতির পথেই রয়েছে। কোনো কোনো কোম্পানি মুনাফা থেকে লোকসানে পতিত হয়েছে।

এসব কোম্পানিগুলোর মধ্যে আর্থিক অবস্থার দিক থেকে দুর্বল অবস্থানে রয়েছে মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস। কোম্পানিটির ২০১৬ সালে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ দশমিক ৭২ টাকা। আর সর্বশেষ ২০২০ সালে কোম্পানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ দশমিক ১৯ টাকা।

দুর্বলতার দিক থেকে নূরানি ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার রয়েছে পরের অবস্থানে। কোম্পানিটির ২০১৬ সালে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ দশমিক ৭৯ টাকা। আর সর্বশেষ ২০২০ সালে কোম্পানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০ দশমিক ৪১ টাকা।

আর খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজের আর্থিক অবস্থা দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির ২০১৬ সালে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ দশমিক ২৯ টাকা। আর সর্বশেষ ২০২০ সালে কোম্পানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০ দশমিক ০৯ টাকা।

এছাড়া, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, কাট্টালি টেক্সটাইল ও আমান ফিডের শেয়ারপ্রতি আয় ২০১৬ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে কমেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৭টি কোম্পানির ফ্যাক্টোরি বা অফিস সশরীরে পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সুবিধা মতো এই পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। পরিদর্শন শেষে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি সংক্রান্ত চিঠি আমরা হাতে পেয়েছি। তবে, করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে কোম্পানি পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

একইভাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘বেশ কিছু কোম্পানির কারখানাসহ প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনের অনুমতি চেয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির অনুমতি চাওয়া হয়েছে। বিএসইসি আমাদেরকে পরিদর্শনের অনুমতি দিয়েছে। তবে লকডাউনের মধ্যে কোম্পানি পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করার সম্ভাবনা কম রয়েছে। তবে পরিদর্শন কার্যক্রমের বিষয়টি ডিএসইর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: