facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

সব শেয়ারের ফ্লোরপ্রাইস উঠল


১৯ জুন ২০২১ শনিবার, ১১:৪৩  এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ার বিজনেস24.কম


সব শেয়ারের ফ্লোরপ্রাইস উঠল

ফ্লোর প্রাইসের আগের নির্দেশনা তুলে নেওয়ায় দেশের পুঁজিবাজারে রোববার থেকে সব শেয়ার সাধারণ নিয়মে ওঠানামা করবে; অর্থাৎ বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন দর থাকবে না, প্রযোজ্য হবে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার।

বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ধস ঠেকাতে আপদকালীন ব্যবস্থা হিসেবে গত বছরের ১৯ মার্চ শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয় বিএসইসি।

প্রায় ১৫ মাসে পর সর্বনিম্ন দাম বা ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হল।

নতুন তালিকাভুক্ত শেয়ারের প্রথম লেনদেনও সাধারণ সার্কিট ব্রেকারের নিয়ম কার্যকর করতে বলেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

আদেশ জারির পর থেকে তা কার্যকর করতে বলা হয়েছে।

এর ফলে রোববার থেকে ফ্লোর প্রাইস উঠে যাওয়ায় শেয়ারের দাম বাড়া বা কমার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকারের সাধারণ নিয়ম কাজ করবে।

কমিশন দৈনিক লেনেদেনে সার্কিট ব্রেকারের সাধারণ এই নিয়ম কার্যকর করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) বলেছে।

নতুন এই নির্দেশনায় ১৯ মার্চ আরোপ করা ফ্লোর প্রাইস সংক্রান্ত নির্দেশনা এবং এর পরের এই সংক্রান্ত সব নির্দেশনা বাতিল করা হয়েছে।

আগের সব নির্দেশনা বাতিল করায় দুই দফায় (১০ এপ্রিল ও ৩ জুন) ফ্লোরপ্রাইস তুলে দেওয়ার পর শেয়ারগুলোর দাম কমার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২ শতাংশের সার্কিট ব্রেকার আরোপের অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাও আর থাকবে না।

একই সঙ্গে তালিকাভুক্তির পর পুঁজিবাজারে লেনদেনের প্রথম দিনেও নতুন শেয়ারের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকারের স্বাভাবিক নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

সর্বশেষ সার্কুলারে কতটুকু সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে সেটিও আবার উল্লেখ করা হয়েছে:


>> ২০০ টাকার নিচে যে কোনো শেয়ার দিনে ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারে।

>> ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ

>> ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ

>> ২০০০ টাকা পর্যন্ত ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ >> ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ

এবং >> ৫০০০ টাকার পরে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ কোনো শেয়ারের দর বাড়তে বা কমতে পারে।

গত বছরের ১৯ মার্চের আগের পাঁচ দিনের প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইসের গড়কে ওই শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস করা হয়েছিল।

ওই দরকেই ‘সার্কিট ব্রেকার’ এর সর্বনিম্ন দাম ধরা হয়েছিল, অর্থাৎ শেয়ারের দাম এর নিচে নামার সুযোগ ছিল না।

পরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বেঁধে দেওয়া শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস সাধারণভাবে বহাল রেখে বোনাস বা রাইট শেয়ার ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ক্ষেত্রে দাম পরিবর্তনের সুযোগ করে দেয় বিএসইসি।

এরপর গত ৭ এপ্রিল ৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস পুরোপুরি তুলে দেয় বিএসইসি।

পরে বড় দরপতন হওয়ায় ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া এসব কোম্পানির দাম এক দিনে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ কমার নিয়ম করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

সর্বশেষ গত ৩ জুন আরও ৩০ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়। এখন সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হল।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: