facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

শেয়ারবাজারে বাড়ছে নারী বিনিয়োগকারী


১০ অক্টোবর ২০২০ শনিবার, ০৪:৫৮  এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ার বিজনেস24.কম


শেয়ারবাজারে বাড়ছে নারী বিনিয়োগকারী

২০১০ সালে ধসের পর পুঁজিবাজার ছেড়ে চলে যান বিপুল সংখ্যক নারী। সাত লাখ থেকে কমে নারীর সংখ্যা চলে আসে পাঁচ লাখের নিচে। এরপর বাজারে নারীর অংশগ্রহণ সেভাবে লক্ষ করা যায়নি। তবে সম্প্রতি পুঁজিবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকার পাশাপাশি প্রাইমারি মার্কেটে কিছু ভালো মানের কোম্পানির আইপিও থাকায় আবারও বাজারে যুক্ত হচ্ছে নারী।

 

প্রাপ্ত তথ্যমতে, সম্প্রতি প্রতিদিন গড়ে পাঁচ শতাধিক নারী পুঁজিবাজারের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে বিও সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে বিষয়টি জানা যায়।

 

সিডিবিএলের দেওয়া তথ্যমতে, গত কয়েক বছরের মধ্যে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে (পাঁচ কার্যদিবস) সবচেয়ে বেশি নারী বিও অ্যাকাউন্ট খুলেছে। এই সময়ে নারীদের জন্য মোট বিও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে দুই হাজার ৫৬৭টি, প্রতিদিন যার পরিমাণ গড়ে ৫১৩টি। ৩০ সেপ্টেম্বর পুঁজিবাজারে নারীদের মোট বিও অ্যাকাউন্ট ছিল পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭০৬টি। ৭ অক্টোবর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার ২৭৩টিতে।

 

এদিকে নারী বিনিয়োগকারীদের বাজারের প্রতি আগ্রহী হওয়ার কারণ হিসেবে আইপিও অফারের কথা বলছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা। তাদের অভিমত, অধিকাংশ নারীই সেকেন্ডারি মার্কেটের চেয়ে প্রাইমারি মার্কেটের প্রতি আগ্রহ বেশি দেখায়, কারণ এখানে কোনো ঝুঁকি নেই। সেজন্য তারা প্রাইমারি মার্কেটে বিনিয়োগ করতে চান। ফলে আইপিওর অফার থাকলে তাদের বাজারের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে সেকেন্ডারি মার্কেটেও তাদের উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। এটা ভালো খবর।

 

২০১০ সালের আগে পুঁজিবাজারে কালেভদ্রে নারী বিনিয়োগকারীদের দেখা মিলত। পরবর্তীকালে প্রতিদিনই ব্রোকারেজ হাউসগুলোয় নারী বিনিয়োগকারীদের আনাগোনা লক্ষ করা যেত, কিন্তু ধসের পর পুঁজিবাজারের প্রতি আগ্রহ হারায় নারীরা।

 

এ প্রসঙ্গে মডার্ন সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুজিস্তা নূর-ই-নাহারীন বলেন, বাজারে আইপিওর অফার থাকলে অনেকে এ শেয়ারের জন্য আবেদন করে, যে কারণে বিও অ্যাকাউন্টও বাড়ে। পাশাপাশি সেকেন্ডারি মার্কেট ভালো থাকলেও বিনিয়োগকারীরা বাজারে ফিরে আসে। তখন এ ধরনের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে এটা খুবই কম।

 

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারী আগের তুলনায় বাড়লেও এটা যথেষ্ট নয়। আমার জানামতে, এখনও অনেক নারীর বিও পুরুষ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। তাই এগুলোকে নারীদের বিও বলা চলে না। এ বাজারের উন্নয়নে নারীদের আরও বেশি অংশগ্রহণ জরুরি।

 

তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারে অধিকাংশ নারীই প্রাইমারি মার্কেটে বিনিয়োগ করতে ভালোবাসে। সে কারণে আইপিও থাকলে তাদের অ্যাকাউন্ট সংখ্যা বাড়ে। আমার মনে হয় নারীদের বেশি বেশি সেকেন্ডারি মার্কেটে থাকা দরকার।

 

এ বিষয়ে কথা হলে সালেহা রহমান নামে এক বিনিয়োগকারী বলেন, ২০১০ সালের আগে পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারীর উপস্থিতি তেমন একটা দেখা যেত না। ধসের আগে তাদের উপস্থিতি থাকলেও ধসের পর আবারও প্রায় নারীশূন্য হয়ে পড়ে বাজার। তবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের অনুকূলে থাকায় এখন আবার অনেকেই এ বাজারের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। আমি নিজেও অনেক দিন পুঁজিবাজারের বাইরে ছিলাম।

 

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত মাসেও তিনটি প্রতিষ্ঠানের আইপিও অনুমোদন পেয়েছে। পাইপলাইনে রয়েছে আরও বেশ কিছু কোম্পানি। পর্যায়ক্রমে এসব কোম্পানির আইপিওর অনুমোদন মিললে নারীদের বিও সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র জানিয়েছে, খুব শিগগির বিমা খাতের কোম্পানিসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের আইপি.ওর অনুমোদন মিলবে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন:

নারী ও নারী উদ্যোক্তা -এর সর্বশেষ