২৯ জুন ২০১৮ শুক্রবার, ১২:১৫ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
সারা বিশ্বের ফুটবল উন্মাদনা এবার মিলেছে রাশিয়ায়। বিশ্বকাপ ফুটবল ম্যাচ সরাসরি দেখতে বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার ফুটবলপ্রেমী জড়ো হয়েছেন রাশিয়ায়। সেখানে ইংরেজি জানা মানুষের সংখ্যা কম, তাই ভাষা সমস্যা তো আছেই। সেই সাথে তাদের চেখে দেখতে হচ্ছে ভিন্ন স্বাদের সব খাবার। রাশিয়ায় গিয়ে আপনি কী খেতে পারেন? তেমন কিছু খাবারের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে।
১. কেফির:
ফুটবলের গোল দেখার আগে আপনার দিনটা শুরু করুন এই রুশী ঘোল দিয়ে। প্রতি গ্লাস কেফিরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন আর পুষ্টিকারক। নোনা ভাব একটু বেশি মনে হলে খেতে পারেন রিয়াঝেংকা। সেটাও ঘোলের কাছাকাছি ড্রিংক।
দাম: ৩০ রুবল (৫০ সেন্ট)
কোথায় পাবেন: সুপার মার্কেটের চিলার সেকশনে দুধেরে বোতলের কাছাকাছি।
২. পেলমেনি:
পেলমেনি হচ্ছে খাঁটি রুশী পিঠা। অনেকটা পুলি পিঠার মতো। সুপার মার্কেটে এটা ফ্রোজেন কিংবা ফ্রেশ দু’ধরনেই পাওয়া যায়। কিনে ফুটন্ত পানিতে আট মিনিট সেদ্ধ করুন। পিঠার ভেতরে থাকে মাংস (চেক করে নিন কিসের মাংস), মাশরুম কিংবা পনির। মাখন, সাওয়ার ক্রিম কিংবা মেওনেইজ দিয়ে পরিবেশন করুন।
দাম: প্রতি কেজি ২০০ রুবল (৩ ডলার)
কোথায় পাবেন: সুপার মার্কেটের চিলার সেকশনে পাবেন ফ্রেশ পেলমেনি। ফ্রোজেন সেকশনেও এটা পাওয়া যায়।
৩. গ্রেচকা:
বাংলাদেশে যাকে ‘বাজরা’ নামে ডাকা হয় গ্রেচকা আসলে তাই। ইংরেজি নাম ‘বাকহুইট’। স্বাস্থ্যগুণের জন্য রুশরা একে ‘সুপারফুড’ নামে ডাকেন। মিষ্টি কিংবা ঝাল দু’ভাবেই এই গ্রেচকা রান্না করা যায়। দুধ আর চিনি দিয়ে সেদ্ধ করে সকালে নাস্তা হিসেবে খেতে পারেন। অথবা নোনা জলে সেদ্ধ করে মাখন মিশিয়ে দুপুরের খাবারে সাইড ডিশ হিসেবেও গ্রেচকা পরিবেশন করা যায়।
দাম: প্রতি কেজি ৬০ রুবল (১ ডলার)।
কোথায় পাবেন: সুপার মার্কেটের তৈরি খাবার সেকশনে। অথবা সেখানেআটা ময়দা পাওয়া যায় সেখানে গ্রেচকা পাবেন।
৪. সবজির আচার, সোলেনিয়া:
এই আচার ছাড়া কোন রুশী খাবার সম্পূর্ণ হয় না। এগুলো কাঁচের জারে পাওয়া যায়। বরফ ঠান্ডা ভদকার সাথে নোনা শসা আর কালো বোরোডিনো রুটি খেতে পারেন। মাছ-মাংসের সাথে খেতে পারেন বাঁধাকপির আচার। রুশরা বলেন, হ্যাংওভার কাটাতে এক গ্লাস আচারের নোনা জলের জুড়ি নেই।
দাম: প্রতি কেজি ১০০ রুবল (১.৬০ ডলার)
৫. বারানকিআর বুবলিকি:
এগুলো হলে রুশী রুটি -- বেগ্ল এবং প্রেটজেল। রিং-এর মতো দেখতে ছোট, শক্ত বিস্কুট। এগুলো প্লেন হতে পারে, মিস্টি এবং নোনা -- দু’ধরনেরই হতে পারে। ভ্যানিলা ফ্লেভার্ড হতে পারে।
দাম: ২০০ গ্রাম প্যাকেটের দাম ৩০ রুবল (৫০ সেন্ট)।
কোথায় পাবেন: দোকানের যে অংশে রুটি এবং কেক বিক্রি হয়।
৬. গাযিরোভকা:
আপনার খাওয়া দাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে থাকবে এসব রুশী ড্রিংক। এগুলোর বেশির ভাগই তৈরি হয়েছিল সোভিয়েত আমলে। তারা মার্কিন কোকাকোলার সাথে পাল্লা দিতে চাইছিল। ‘বাইকাল’ দেখতে কোকাকোলার মতোই। কিন্তু এটি তৈরি হয়েছে নানা ধরনের লতাপাতা দিয়ে, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
দাম: বোতল প্রতি ৪০ রুবল (০.৬ ডলার)।
কোথায় পাবেন: চিল্ড ড্রিংক সেকশনে, কিংবা অ্যালকোহলমুক্ত ড্রিংকসের তাকে।
৭. পিচচিয়ে মালাকো:
রুশ ভাষায় এর মানে হলো ‘পাখির দুধ’। এটা খাবারের পর ডেজার্ট হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। মার্শমেলোর ওপর চকোলেট দিয়ে তৈরি। ১৯৭০-এর দশকে এই মিষ্টি তৈরি হয়েছিল।
দাম: প্রতি পাঁচশো গ্রাম ৩০০ রুবল।
কোথায় পাবেন: সুপার মার্কেটের সুইট সেকশনে।
8. গ্ল্যাযিরোভানি সিরক:
আরেকটা জনপ্রিয় মিস্টি হচ্ছে গ্ল্যাযিরোভানি সিরক। পনীরের ওপর চকোলেটের আস্তুর। খেতে অনেকটা চিক কেকের মত।
দাম: প্রতি পিস ২০-৪০ রুবল (৩০-৬০ সেন্ট)
কোথায় পাবেন: যেখানে ডেইরি প্রডাক্ট থাকে।
৯. কুলিউভকা ভি সাখারে:
টক-মিষ্টি এই খাবার ফুটবল ম্যাচের দর্শকদের অপরিহার্য সঙ্গী।
দাম: ৭০ রুবল (১ ডলার), প্রতি ১০০ গ্রাম।
কোথায় পাবেন: সুইট সেকশনে।
১০. প্রিয়ানিকি:
আপনি দিন শেষ করবেন এক কাপ চা আর এই রুশী মিষ্টি জিঞ্জারব্রেড কেক দিয়ে। মধু দিয়ে তৈরি এই কেক কিনে অনেক ফুটবল ফ্যান স্যুভেনির হিসেবে বাড়িতে নিয়ে যাবেন। কেনার সময় লক্ষ্য করুন সেগুলো টুলা-তে তৈরি কিনা। কারণ সেগুলোই স্বাদে-গন্ধে সেরা।
দাম: প্রতি কেজি ১৮০ রুবল (২.৮০ ডলার)
কোথায় পাবেন: বিস্কুট সেকশনে।3.
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।