১২ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার, ১১:২৩ এএম
স্টাফ রিপোর্টার
শেয়ার বিজনেস24.কম
চার বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব থেকে বুধবার (১১ মে) বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এ ঘটনাকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিও হিসাব পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি।
এদিকে, যে বিও হিসাবটি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে, সেটি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব। এই বিও হিসাবে রক্ষিত শেয়ারের কাস্টডিয়ান হিসেবে রয়েছে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি। ফলে এইচএসবিসির কাছেও ব্যাখ্যা তলব করেছে এ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ হাউসে রক্ষিত একটি বিও হিসাব থেকে বুধবার ১২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার সমমূল্যের তিনটি কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করা হয়। কোম্পানি তিনটি হলো- গ্রামীণফোন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবিসি) ও স্কয়ার ফার্মা। ওই বিও হিসাবটি ২০১৮ সালের জুনে বন্ধ হয়ে গেছে। কীভাবে ‘বন্ধ বিও` থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করা হলো, তা নিয়ে বিএসইসি খতিয়ে দেখছে।
জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আমরা প্রাথমিক অনুসন্ধানে জেনেছি, বন্ধ বিও হিসাব থেকে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে। যেসব কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে, সেগুলো শেয়ারবাজারে সূচকের পতনে বড় ভূমিকা রাখে। কীভাবে বন্ধ বিও থেকে শেয়ার বিক্রি করা হলো, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছ থেকে ব্যাখ্যা ও তথ্যপ্রমাণ চাওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকে বড় পতন হয়েছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৩.৬২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৯১.৯৯ পয়েন্টে। এদিকে সিএসইর প্রধান সূচক সিএসইএক্স ১১৯.৮১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৫৯৮.৮১ পয়েন্টে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।