facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪

Walton

ফের ব্যবসা চালু করবে গাছিহাটা ফার্মস


১১ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার, ০২:৩৫  পিএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


ফের ব্যবসা চালু করবে গাছিহাটা ফার্মস

কার্যকারী মূলধনের ঘাটতির কারণে গত দুই দশক ধরে খারাপ সময় পার করছে পুঁজিবাজারে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্মস। তবে এবার কোম্পানিটি পুনরায় কৃষি ভিত্তিক ব্যবসা চালু করতে আগ্রহী। তাই কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা চেয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির সঙ্গে গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচারের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে গত ১০ আগস্ট বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। এসময় বিএসইসির অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এদিকে কোম্পানির চেয়ারম্যান ও এমডিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমতে, দুই পক্ষের বৈঠকে গাছিহাটার ব্যবসার বর্তমান অবস্থা, জমি এবং আর্থিক প্রতিবেদন বিষয়ে নথিপত্র দাখিল করা হয়।

গাছিহাটার পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করে অতি শিগগিরই কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হবে। এরপর কমিশনের সার্বিক সহযোগিতায় পুনরায় কৃষি ভিত্তিক ব্যবসা চালু করা হবে।

জানা গেছে, গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্মস স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত একটি কৃষি-ভিত্তিক কোম্পানি। ১০৯ একর জমির মালিকানা থাকা সত্ত্বেও কার্যকারী মূলধনের ঘাটতির কারণে গত দুই দশক ধরে খারাপ অবস্থায় রয়েছে কোম্পানিটি। ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচার। ২০০২ সাল থেকে কার্যকরী কার্যক্রম পরিচালনা এবং লভ্যাংশ প্রদান করতে ব্যর্থ হওয়ায় স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান ট্রেডিং বোর্ড থেকে ওটিসি মার্কেট পাঠানো হয়।

পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিএসইসি ওটিসি মার্কেট বিলুপ্ত ঘোষণা করে। ফলে ওটিসি মার্কেটের আওতাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা ও ভবিষ্যত সম্ভাবনার ভিত্তিতে এসএমই প্ল্যাটফর্ম ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে ওটিসি মার্কেট থেকে গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচারকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

এর আগে কমিশন থেকে কোম্পানিটির বেশ কিছু সমস্যার বিষয়ে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট নথি চেয়ে চিঠি দেয়।

বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে, গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্মস চালু রয়েছে এবং এর কারখানা প্রাঙ্গণে গবাদি পশু, মাছ এবং গাছের বাগান রয়েছে। এটি ৮৫.২৫ একর পুকুর এলাকাসহ ১০৯ একর জমির মালিক। ডিএসই তথ্য অনুসারে, জমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫৫৬ কোটি টাকা। ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাথে কোম্পানিটির মেয়াদী ঋণ রয়েছে ২৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা। স্পন্সর এবং পরিচালকদের ২৫.৮৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১৮.১২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৫৬.০২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

কোম্পানিটির কাছে কমিশন জমির মিউটেশন কপিসহ বর্তমান জমির অবস্থার বিবরণ, কেন কোম্পানি তাদের শেয়ারের ডিম্যাট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেনি সে সংক্রান্ত বিবৃতি, ২০২০-২১ এর বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত ইপিএসে বিশাল উল্লম্ফনের প্রমাণ হিসেবে সমস্ত সহায়ক নথি বা গত ৫ বছরের আর্থিক বিবৃতি, ওটিসি বাজারে যাওয়ার পর স্থায়ী সম্পদের নিষ্পত্তির বিবরণ জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ২০০০ সালে ব্যবসা সমপ্রসারণের জন্য কাঁচামাল এবং যন্ত্রপাতি আমদানি করতে রাষ্ট্র পরিচালিত অগ্রণী ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা নিয়েছিল। কিন্তু ব্যবস্থাপনা ও মালিকদের প্রচেষ্টার অভাবের জন্য এটি করতে ব্যর্থ হয় এবং ফলস্বরূপ, সময়মতো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়।

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: