facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪

Walton

ফাইন ফুডসে নানা অনিয়ম


১৭ জানুয়ারি ২০২১ রবিবার, ০২:৫১  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ার বিজনেস24.কম


ফাইন ফুডসে নানা অনিয়ম

ব্যবসায় দীর্ঘদিন ধরে মন্দায় থাকলেও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফাইন ফুডসের শেয়ার দর নিয়ে মাঝেমধ্যেই কারসাজি করা হয়। এক্ষেত্রে কোন কারন ছাড়াই কৃত্রিমভাবে কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিক উত্থান ঘটানো হয়। যে কোম্পানিটির আর্থিক হিসাবে বিভিন্ন অনিয়ম পেয়েছে নিরীক্ষক।

ব্যবসায় দুর্বল ফাইন ফুডসের লভ্যাংশ গত কয়েক বছর ধরে ২-৩ শতাংশের মধ্যে ছিল। তবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সেটা ১ শতাংশে নেমে এসেছে। এছাড়া কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) আটকে আছে কয়েক পয়সার মধ্যে। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে। ওই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.১২৬ টাকা।

এমন দুর্বল কোম্পানিটির শেয়ার দর শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দাড়িঁয়েছে ৫১.৭০ টাকায়। যে শেয়ারটি গত ১০ সেপ্টেম্বর ৯৮.৫০ টাকায় ছিল।

ফাইন ফুডসের এই অস্বাভাবিক দরের পেছনে রয়েছে স্বল্পমূলধনী। কোম্পানিটির ১৩.৯৭ কোটি টাকার পরিশোধীত মূলধন হওয়ায় সহজেই নিয়ন্ত্রন করতে পারে কারসাজিকররা।

এই কোম্পানিটির উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা শেয়ার বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যাতে কোম্পানিতে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের শেয়ার ধারন নেমে এসেছে ৬.৩৮ শতাংশে। এরমাধ্যমে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনের নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটেছে। এ জাতীয় কোম্পানির পর্ষদ পূনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ফাইন ফুডস কর্তৃপক্ষ ক্যাপিটাল স্টক হিসেবে ১.০৫ কোটি টাকার সম্পদ দেখিয়েছে। এরমধ্যে বৃক্ষরোপণ এবং পশুসম্পদও যুক্ত রয়েছে। যা বাজার দরের পরিবর্তে ব্যয়মূল্যে দেখিয়ে আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-৪১ লংঘন করা হয়েছে।

এদিকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই সম্পদ বাজার মূল্যে না দেখানোর কারনে প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে ভুলের পরিমাণ নির্ণয় করতে পারেনি নিরীক্ষক। যে কারনে আর্থিক হিসাবে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করাও সম্ভব হয়নি।

আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ৩০(১) অনুযায়ি, ১৫ হাজার টাকা বা এর উপরে বেতন বা সম্মানি পাওয়া কর্মীদের ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করতে বলা হয়েছে। কিন্তু ফাইন ফুডস কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসেই অনেক কর্মীকে নগদে প্রদান করে।

এদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গঠন করলেও শ্রম আইনের ফান্ড ডব্লিউপিপিএফ ট্রাস্টে হস্তান্তর করেনি বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক। যা বাংলাদেশ শ্রম আইনের ব্যত্যয়। অথচ আইনে প্রতি অর্থবছর শেষ হওয়ার ৯ মাসের মধ্যে ফান্ড হস্তান্তরের কথা বলা আছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: