facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

নতুন মূলধনি যন্ত্রপাতি কিনবে এভিন্স টেক্সটাইলস


২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার, ০৫:১৭  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ার বিজনেস24.কম


নতুন মূলধনি যন্ত্রপাতি কিনবে এভিন্স টেক্সটাইলস

কারখানার উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সম্পূর্ণ নতুন মূলধনি যন্ত্রপাতি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি এভিন্স টেক্সটাইলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

কোম্পানি সূত্র অনুযায়ী, চীনের শিন গ্রিন ট্রেডিং (শিয়ামেন) কোম্পানি লিমিটেড এভিন্স টেক্সটাইলসকে ভিএসডি স্ক্রু সংযুক্ত টু-স্টেজ এয়ার কম্প্রেসার ও রেফ্রিজারেন্ট এয়ার ড্রায়ার স্ট্যান্ডার্ড অ্যাকসেসরিজসহ সরবরাহ করবে। এই যন্ত্রপাতি কিনতে এভিন্স টেক্সটাইলসের আনুমানিক খরচ হবে ৭২ হাজার ৫০০ ডলার (বাংলাদেশের মুদ্রায় যা প্রায় ৬১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা)।

চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) এভিন্স টেক্সটাইলস লিমিটেডের বিক্রি ও মুনাফা কমেছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির টার্নওভার হয়েছে সম্মিলিতভাবে ১১৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১২১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এ হিসাবে চলতি হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির সম্মিলিত টার্নওভার কমেছে ৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বা ৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে সম্মিলিতভাবে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ৫০ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমেছে এভিন্স টেক্সটাইলসের। জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে কোম্পানিটির সম্মিলিত নিট মুনাফা হয়েছে ৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে প্রতিষ্ঠানটির সম্মিলিত নিট মুনাফা কমেছে ৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে কোম্পানিটির এককভাবে টার্নওভার হয়েছে ৯২ কোটি ৮১ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৬ কোটি ১২ লাখ টাকা। এককভাবে নিট মুনাফা হয়েছে ৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে এভিন্স টেক্সটাইলসের সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬৪ পয়সা। আর একক ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৯ পয়সা।

এদিকে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির টার্নওভার হয়েছে সম্মিলিতভাবে ৫৭ কোটি ২ লাখ টাকা আর এককভাবে ৪৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে সম্মিলিত ও একক টার্নওভার ছিল যথাক্রমে ৫৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ও ৪৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সম্মিলিত ও একক নিট মুনাফা হয়েছে যথাক্রমে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা ও ২ কোটি ৬২ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল যথাক্রমে ৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা ও ৫ কোটি ৮ লাখ টাকা। ইপিএস হয়েছে সম্মিলিতভাবে ১৩ পয়সা ও এককভাবে ১৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এভিন্স টেক্সটাইলসের সম্মিলিত ও একক ইপিএস ছিল যথাক্রমে ৩০ পয়সা ও ২৯ পয়সা।


৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে সম্মিলিতভাবে ১৪ টাকা ৭ পয়সা আর এককভাবে ১৩ টাকা ১১ পয়সা।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরে এভিন্স টেক্সটাইলসের নিট মুনাফা হয়েছে ১৭ কোটি ১ লাখ টাকা, এককভাবে যা ১৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরে কোম্পানিটির সম্মিলিত ও একক নিট মুনাফা ছিল যথাক্রমে ১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ও ১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৬ পয়সা। এককভাবে ইপিএস হয়েছে ৯২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯১ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়ায় সম্মিলিতভাবে ১৫ টাকা ৩২ পয়সা ও এককভাবে ১৪ টাকা ২৬ পয়সা। এক বছর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩০ জুন এনএভিপিএস ছিল সম্মিলিতভাবে ১৪ টাকা ৪৪ পয়সা ও এককভাবে ১৩ টাকা ৫৪ পয়সা। সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে এভিন্স টেক্সটাইলস। এর মধ্যে ২ শতাংশ নগদ ও বাকি ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।

সর্বশেষ এনটিটি রেটিং অনুসারে এভিন্স টেক্সটাইলসের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল বি টু’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ফোর’। ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ডব্লিউএএসও ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড (ডব্লিউসিআরসিএল)।

২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি এভিন্স টেক্সটাইলস। তার আগে ২০১৭ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার এভিন্স টেক্সটাইলস শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৮ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

২০১৬ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৮২ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে রয়েছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২ দশমিক ১৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে বাকি ৪১ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: