ধর্ষণকারীদের দমনে সরকার বদ্ধপরিকর : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পরিচয় যাই ব্যবহারের চেষ্টা করুক না কেন ধর্ষণকারীদের কঠোর হস্তে দমনে সরকার বদ্ধপরিকর। 

আজ সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনভিত্তিক শিশুতোষ গ্রন্থ ‘আমি হবো আগামী দিনের শেখ হাসিনা’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে শেষে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

সম্প্রতি দেশে খুন-ধর্ষণ নিয়ে প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তারা দুষ্কৃতকারী। তাদের অন্য পরিচয় থাকতে পারে না। সরকার এসব দুষ্কৃতকারীর কঠোর হস্তে দমন করতে বদ্ধপরিকর। এর আগে এই ধরনের ঘটনায় অনেকগুলোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে। শাস্তি কার্যকরও করা হয়েছে।

আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যাপকতা ছিল না তাই অনেক ঘটনাই আড়ালে থেকে যেত বলে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন বেশিরভাগ ঘটনা আড়ালে থাকে না। প্রায় সব ঘটনাই প্রকাশ্যে আসে। বিষয়টি ভালো। যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিষয়গুলো তুলে ধরছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।এতে করে সরকারের পক্ষ থেকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সহজ হচ্ছে। এ ধরনের দুষ্কৃতকারীরা যে পরিচয়ই ব্যবহার করার চেষ্টা করুক না কেন, তাদের কঠোর হস্তে দমন করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। এগুলো নিয়ে রাজনীতি করার কোনো অবকাশ নেই।

‘এ ধরনের ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দিতে মাঝে মধ্যে বিএনপির পক্ষে অপচেষ্টা চালানো হয়। বিএনপি তো দলীয়ভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশে নারী ধর্ষণ করিয়েছে। ২০০১ সালের পর ৮ বছরের শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারীকেও ধর্ষণ করা হয়েছে এবং পুরো গ্রাম অবরুদ্ধ করে নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে সেখানকার নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে। সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনও অনেকে বয়ে বেড়াচ্ছে। যারা এ সব অপকর্ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কোনো শাস্তির ব্যবস্থা তারা করেনি। সুতরাং যারা এ অপকর্মের সঙ্গে দলীয়ভাবে জড়িতছিল, তাদের এ নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার (বিএনপির) কতটুকু আছে সেটি হচ্ছে বড় প্রশ্ন।’

তিনি বলেন, মানুষের জবাবদিহিতার জায়গা আগের থেকে অনেক বেড়েছে। আগে এ ধরনের ঘটনা প্রকাশ পেত না। এখন সব ঘটনাই প্রকাশ্যে আসে। এতে করে সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সহজ হচ্ছে। দেশে নারী ক্ষমতায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ থেকে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। দেশে নারী ক্ষমতায়নে পৃথিবীতে বাংলাদেশ উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। সুতরাং অতীতের যেকোনো সময়ের থেকে জবাবদিহিতা বেড়েছে।