facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

দরপতনের ধাক্কা শেয়ারবাজারে


৩১ মার্চ ২০২১ বুধবার, ০৩:৫৭  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ার বিজনেস24.কম


দরপতনের ধাক্কা শেয়ারবাজারে

এরই মধ্যে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। দুই সপ্তাহের বেশি সময় করোনা সংক্রমণ বাড়ায় আবারও নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাতে জোর দিচ্ছে সরকার।

তারই অংশ হিসেবে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। যেখানে গণপরিবহনে আসনের অর্ধেক যাত্রী পরিবহন, লোকসমাগম হয় এমন সব জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

২৯ মার্চ এ বিষয়ে সরকার নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে। মাঝে একদিন পবিত্র শবে বরাতের সরকারি বন্ধের পর পুঁজিবাজারে প্রথম কার্যদিবস শুরু হয়েছে বুধবার।

এমন নির্দেশনার পর নেতিবাচক অবস্থা দেখা গেছে পুঁজিবাজারে। লেনদেনে আড়াই ঘণ্টায় প্রধান সূচক কমেছে ৭৯ দশমিক ৯১ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।

পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী আব্দুর রহমান বলেন, ‘ব্রোকার হাউসগুলোতে লেনদেনের সময় প্রচুর বিনিয়োগকারী অবস্থান করেন। করোনা মহামারির জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও এখন নেই বলেই চলে।

করোনা ভাইরাস বেড়ে যাওয়ায় বুধবার ব্রোকার হাউসে যাননি এই বিনিয়োগকারী। শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মোবাইল অ্যাপ বা মোবাইলে বাই-সেল অর্ডার দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

দুই-এক দিন আগে গুজব ওঠে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আবারও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে লেনদেন। তখন পুঁজিবাজারের সূচক ৮৯ পয়েন্টের বেশি কমে লেনদেন নেমে আসে তলানিতে।

পুঁজিবাজারের সূচকের এমন হঠাৎ পতনকে লেনদেন বন্ধ হওয়ার গুজবকে দায়ী করে বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। জানানো হয়, করোনা মহামারির কারণে লেনদেন বন্ধ হচ্ছে এমন গুজবে সূচক ও লেনদেন কমেছে। তবে ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারের লেনদেন চলবে।

বিএসইসি গুজবের বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য এবং সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে নির্দেশনার পর পুঁজিবাজারে লেনদেন চললেও বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ভবিষ্যতে আরও কমবে এমন আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নীতিমালা অনুযায়ী টানা দুই সপ্তাহ সংক্রমণ পরীক্ষার বিবেচনায় ৫ শতাংশের নিচে হলে করোনা নিয়ন্ত্রণে ধরা যায়। বাংলাদেশে টানা আট সপ্তাহের বেশি সংক্রমণ এর নিচে ছিল।

নিয়ন্ত্রণে আসার পর টানা দুই সপ্তাহ সংক্রমণ ৫ শতাংশের বেশি হলে দ্বিতীয় ঢেউ ধরা যায়। বাংলাদেশে এই পরিস্থিতি ১৫ দিন ধরে দেখা যাচ্ছে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে এটা সত্য। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এটাও সত্য। কিন্তু পুঁজিবাজারে যারা লেনদেন করতে আসেন তাদের একেকজন একেক জায়গা থেকে আসেন। ফলে ব্রোকার হাউসে বসে লেনদেন করা ঝুঁকিপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত নতুন নির্দেশনার পর প্রথম লেনদেন হচ্ছে পুঁজিবাজারে। প্রথম দিনই মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে বিএসইসিরও বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।’

এর আগে করোনা মহামারির প্রথম পর্যায়ে গত বছর ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স লেনদেনের আড়াই ঘণ্টায় ৭৯ দশমিক ৯১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৯৩ পয়েন্টে। শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৫ দশমিক ০৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০৬ পয়েন্টে। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৩৪ দশমিক ২৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ০০২ পয়েন্টে।

এ সময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ১৮টির, কমেছে ২৪২টির ও পাল্টায়নি ৭০টির।

লেনদেন হয়েছে ২৯৪ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এ সময়ে প্রধান সূচক ২১৩ দশমিক ১২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৫৩ পয়েন্টে। লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২টির, কমেছে ১৩৯টির ও পাল্টায় ৩৬টির। লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি টাকা।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: