facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

টানা বড় দরপতনের পর উত্থান


০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার, ০৭:১১  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ার বিজনেস24.কম


টানা বড় দরপতনের পর উত্থান

টানা দুই কার্যদিবস বড় দরপতনের পর মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। তবে লেনদেনে খরা দেখা দিয়েছে। ডিএসইতে ৪৮ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে আজ।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরু থেকেই ব্যাংক, বীমা, প্রকৌশল, বস্ত্র, ওষুধ, আর্থিক খাতসহ প্রতিটি খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়তে থকে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত দাম বাড়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে।


এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ২৪০ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭টির। আর ৯২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ১২২ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৯৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এর আগে টানা দুই কার্যদিবসের টানা বড় পতনে সূচকটি ২৭০ পয়েন্ট কমে যায়।

প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি বড় উত্থান হয়েছে অপর দুই সূচকের। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৬২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা। যা আগের দিন ছিল ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়ার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে।

মূল্য সূচক ও বাজার মূলধন বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৮৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। যা আগের দিন ছিল ৭৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে ১০৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।


শুধু আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে তা নয়, ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বরের পর ডিএসইতে সব থেকে কম লেনদেন হয়েছে। গত বছরের ১ ডিসেম্বর ডিএসইতে ৬৬৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়। এরপর বাজারটিতে মঙ্গলবারের আগে সাতশ কোটি টাকার নিচে লেনদেন হয়নি।

লেনদেন কমার দিনে টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৮৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার ৪৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৪০ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রবি।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে ডিএসইতে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, সামিট পাওয়ার, লাফার্জহোলসিম, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল এবং মীর আখতার হোসেন লিমিটেড।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৩৯৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮টির এবং ৪৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: