০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার, ০২:৫২ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ সহায়তা চেয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাবসিডিয়ারিগুলো। গতকাল বুধবার পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য এই টাকা চেয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলামের কাছে লিখিত প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি দল।
এতে ১০ হাজার কোটি টাকার ব্যবহার ও ফেরতের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। জানা গেছে, গত ২০ নভেম্বর বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের একটি প্রতিনিধিদল সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। দলটি পুঁজিবাজারের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। এর আলোকে সচিব টাকার ব্যবহার, ফেরত, সুদহার ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত চেয়ে প্রস্তাব দেওয়ার জন্য বলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ওই প্রতিনিধিদলটি গতকাল সবিস্তারে লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে। পুঁজিবাজারের সহযোগিতায় ৬ বছরের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা চেয়ে ওই প্রস্তাব করা হয়েছে, যা পুঁজিবাজারের সব মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এই টাকার বিপরীতে দ্বিতীয় বছর থেকে ৩ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর চতুর্থ বছর থেকে আসলসহ সুদ প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথম বছর সুদ চার্জ না করার আহ্বান করা হয়েছে। ১০ হাজার কোটি টাকা শুধু পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের জন্যই ব্যবহার করা হবে বলেও লিখিত প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা একটি বিশেষ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে। একই সঙ্গে ওই টাকার ব্যবহার নিয়ে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকে ব্যাংক খাতের তারল্য সংকট থেকে পুঁজিবাজারে দরপতন শুরু হয়। চলতি বছর বিদেশিদের শেয়ার বিক্রির ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সক্ষমতা কমে যাওয়ায় দরপতন আরও বাড়ে। এতে তালিকাভুক্ত ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার দর হারায়। ফলে প্রায় সব ধরনের বিনিয়োগকারী বড় অঙ্কের লোকসানে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার সহায়তা চায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাবসিডিয়ারিগুলো।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।