facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

‘খেজুরের রস পানে’ দুই বোনের মৃত্যু


০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার, ১২:০৭  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


‘খেজুরের রস পানে’ দুই বোনের মৃত্যু

শীতের সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছের খেজুরের রস পান করেছিল দুই চাচাতো বোন। কিছুক্ষণ পরেই জ্বরে আক্রান্ত হয় দুজনই। গ্রামেই চিকিৎসা নিচ্ছিল তারা। কিন্তু চার দিনের মাথায় বাড়িতেই একজনের মৃত্যু হয়। তার ছয় ঘণ্টার মাথায় ক্লিনিকে ভর্তি হওয়া অপরজনও মারা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার গুনাহার ইউনিয়নের পোঁওতা গ্রামে।

এরা হলো পোঁওতা গ্রামের আবু মুসার মেয়ে মোছাম্মাৎ মীম (১২) ও সাইফুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া আকতার (১৪)। মীম পাওগাছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণি এবং সাদিয়া একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। গত বুধবার সকালে মীম বাড়িতে এবং একই দিন রাতে সাদিয়া আকতার বগুড়া স্থানীয় একটি ক্লিনিকের মারা যায়। খেজুরগাছের রস পান করার পর জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়ায় নিপাহ ভাইরাস সন্দেহে তাদের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

মীমের বাবা আবু মুসা বলেন, গত শনিবার সকালে তাঁর মেয়ে মীম ও ভাতিজি সাদিয়া বাড়ির পাশের একটি খেজুরগাছের রস পান করে। এর পরপরই তাদের গায়ে জ্বর এলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে গ্রামে চিকিৎসা নেওয়ার পর বুধবার সকালে মীম বাড়িতে মারা যায়। সাদিয়াকে দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে বগুড়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। কিন্তু বুধবার রাতেই সাদিয়াও মারা যায়। গুনাহার ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আকরাম হোসেন বলেন, গোটা গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস বলেন, দুজনের একজন বগুড়া স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিল। জ্বর ভালো না হওয়ায় নিপাহ ভাইরাসের সন্দেহ করে ক্লিনিকের চিকিৎসকেরা রক্তের নমুনা নিয়ে বগুড়া সিভিল সার্জনের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠিয়েছেন। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত রোগের কথা বলা যাচ্ছে না।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন:

গ্রামবাংলা -এর সর্বশেষ