facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৯ মার্চ মঙ্গলবার, ২০২৪

Walton

খুলনায় চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা


০৮ জুলাই ২০১৬ শুক্রবার, ০১:৪২  এএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


খুলনায় চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চিনি বিক্রি বন্ধ করেছে। এ সুযোগে ঈদের আগেই অধিক মুনাফার আশায় স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়ীরা পণ্যটির মজুদ গড়ে তুলেছেন। তারা সিন্ডিকেট করে দফায় দফায় চিনির দাম বাড়াচ্ছেন। কারণ হিসেবে বেসরকারি চিনি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিটি ও ফ্রেশ গ্রুপের উৎপাদিত পণ্যের সরবরাহ ঘাটতিকে দায়ী করছেন।

খুলনার বাজারে এক সপ্তাহ আগে চিনি বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৬০ টাকায়। দাম বেড়ে এখন তা ৭০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। এর আগে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে সিন্ডিকেট করে স্থানীয় ১০টি প্রতিষ্ঠান চিনির দাম বাড়িয়ে দেয়। যৌথ বাহিনী ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করে। দক্ষিণাঞ্চলে চিনির দাম বাড়তে শুরু করে রমজানেরও দুই মাস আগ থেকে। তখন প্রতি কেজির দাম ছিল ৪৬-৪৮ টাকা। রমজানের মাঝামাঝিতে তা বেড়ে লেনদেন হয় ৬২-৬৩ টাকায়।

স্থানীয় সূত্রগুলো বলেছে, কালীবাড়ি মোকামে দৈনিক চিনির চাহিদা ১৬০ টন। সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ৬০ টন। সিটি ও ফ্রেশ গ্রুপ চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ছে। গতকাল পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি চিনি ৬৫ দশমিক ৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও খুচরায় তা লেনদেন হয় ৭০ টাকায়। চিনির বাজারে অস্থিরতার সুযোগ তৈরি হয়েছে ঈদ সামনে রেখে। পাশাপাশি টিসিবি চিনি বিক্রি বন্ধ করায় অধিক মুনাফার আশায় এ অবস্থার সৃষ্টি করেছে স্থানীয় সিন্ডিকেট। পাশাপাশি তিন বছর যাবত খুলনার বাজারে ব্রাজিলের চিনি আমদানি হচ্ছে না।

পাইকারি চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি আনোয়ার হাবিব জানান, সরবরাহ কম থাকায় সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সে কারণেই দাম বেড়েছে। অপরাপর সূত্রগুলো বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দর বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে প্রভাব পড়েছে।

পাইকারি ব্যবসায়ী মেসার্স আশা স্টোরের ম্যানেজার শামছুর রহমান জানান, সিটি গ্রুপ ও ফ্রেশ কোম্পানি থেকে চিনির সরবরাহ কম থাকায় দরবৃদ্ধি পেয়েছে। মদিনা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. জিয়াউদ্দিন বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় চিনির দাম বাড়তির দিকে। তিনি আরো বলেন, তিন বছর ধরে খুলনায় ব্রাজিল থেকে চিনি আমদানি হচ্ছে না।

চিনি ব্যবসায়ী আরকে ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী উত্তম কুমার সাহা জানান, সরকারি মিলের চিনি সরবরাহ খুবই কম। বেসরকারি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারছে না। ঈদের আগে মূল্য কমার সম্ভাবনা কম। মজুদদারদের সিন্ডিকেটের কারণে খুলনায় চিনির বাজার বেসামাল হয়ে ওঠেছে। সিটি গ্রুপ ও ফ্রেশ কোম্পানি চাহিদার তুলনায় চিনি সরবরাহ করতে না পারায় সংকট দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা।

টিসিবির আঞ্চলিক প্রধান মো. রবিউল মোর্শেদ জানান, ২০ মে থেকে ২০ জুন পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোয় ডিলারের মাধ্যমে ১৭০ টন চিনি বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজির দাম ছিল ৪৮ টাকা।

খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান জানান, প্রতি কেজি চিনি ৬৫ টাকা দরে বিক্রি করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর বেশি দামে বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: