facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

কেপিসিএলের মেয়াদ বাড়ার শর্ত চূড়ান্তে ফের বৈঠক


২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ বুধবার, ০৪:৫৬  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ার বিজনেস24.কম


কেপিসিএলের মেয়াদ বাড়ার শর্ত চূড়ান্তে ফের বৈঠক

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সামিট পাওয়ারের একটি ও কেপিসিএলের দুটিসহ পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর ফাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিলেও কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের আলোচনায় চুক্তির শর্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

সরকার আগের মতো বিদ্যুৎ না কিনলে কেন্দ্রের ভাড়া বা ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে চাইছে না। তবে কোম্পানিগুলো ন্যূনতম চার্জ চাইছে। সেটি না দিলে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ কেনার গ্যারান্টি চাইছে তারা।

বিদ্যুতের দামসহ আরও বেশ কিছু বিষয়েও সমঝোতায় আসা যায়নি। এ কারণে আরও বৈঠক করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গত মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসংশ্লিষ্ট ১৪টি বিভাগের প্রতিনিধি এবং চারটি বিদ্যুৎ কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

এই বৈঠকে মধ্যে খুলনায় কেপিসিএলের ১৫৫ মেগাওয়াটের দুটি, নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জে সামিটের ১০২ মেগাওয়াটের একটি, একই জেলার মেঘনাঘাটে ওরিয়ন গ্রুপের ১০০ মেগাওয়াটের একটি এবং সিদ্ধিরগঞ্জে ডাচ্‌-বাংলার পাওয়ার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটের ১০০ মেগাওয়াটের আরও একটি কেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি জানানো হয়।

সরকার ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বা কুইক রেন্টালের মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে কেপিসিএলের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনায় নিয়ে মেয়াদ বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির অনুরোধের পর সে অবস্থান থেকে সরে আসে।

কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো যে আইনের অধীনে চলেছে, সেই ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০১০’ এর মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ানো হয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর।

জাতীয় সংসদ মেয়াদ বৃদ্ধির বিলে সায় দেয়ার পাঁচ দিন পর এই বৈঠক হয় বিদ্যুৎ ভবনে।

সরকার আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিকে কোম্পানিগুলোকে নতুন করে কেন্দ্র চালানোর অনুমতি দেবে। অর্থাৎ তাদের কাছ থেকে যতটুকু বিদ্যুৎ কেনা হবে, ততটুকুর জন্য টাকা দেবে সরকার।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে এ ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ কেনার জন্য গ্যারান্টি চাওয়া হয়েছে। তারা বলেছে, ক্যাপাসিটি চার্জ না থাকলে এই বিষয়ে আগে থেকে সিদ্ধান্ত না হলে তাদের পক্ষে কোম্পানি চালানো কঠিন।

আবার বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি মূল্য বা ট্যারিফ হার নিয়েও আলোচনা চূড়ান্ত হয়নি। ক্যাপাসিটি চার্জ না থাকায় ট্যারিফ বেশি চেয়েছে কোম্পানিগুলো। অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ তা বর্তমান হারের চেয়ে কমাতে চেয়েছে। তাদের যুক্তি, আগের যে ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছিল, তাতে কেন্দ্র স্থাপনসহ নানা ব্যয় হিসাব করা হয়েছিল। এখন নতুন করে কেন্দ্র স্থাপনের খরচ থাকবে না। ফলে কোম্পানির উৎপাদন খরচ কম থাকবে।

তবে বৈঠকের পর কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

সরকারের পক্ষে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আজকে ওদের (বিদ্যুৎ কোম্পানি) কথা শুনেছি আমরা। আবার বসতে হবে, একবার না হলে দুইবার।’

অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেক কিছুই তো রেডি আছে। চার্জের বিষয়ে কিছু ন্যাগোশিয়েশন করা লাগবে। আবার বসতে হবে ওদের সঙ্গে।’

জানতে চাইলে কেপিসিএলের কোম্পানি সচিব মোজাম্মেল হোসেন কিছু বলতে বলতে পারেননি। বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি এখনও কিছু জানি না।’

ওরিয়ন গ্রুপের কোম্পানি সচিব ফেরদৌস জামান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তিনি এখনও আসেননি। এলে জানা যাবে।’

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সচিব সাইফুল ইসলাম আজাদ বলেন, ‘একটি বৈঠক হয়েছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে গেলে একটি মিটিং যথেষ্ট নয়। এ বৈঠকে নানা দিক নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটির আরেকটি বৈঠক হবে। সেখানে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হবে। এসব বিষয় ঠিক করতে একের অধিক, এমনকি ৩-৪ টি মিটিং হতে পারে।’

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: