facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল-এর চমক


২০ মে ২০২২ শুক্রবার, ১১:৩৯  পিএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল-এর চমক

সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধস নামলেও চমক দেখিয়েছে এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল। পতনের বাজারে বিনিয়োগকারীদের কাছে পছন্দের শীর্ষে চলে আসায় সপ্তাহজুড়েই এ কোম্পানিটির শেয়ার দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে। ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে এ প্রতিষ্ঠানটি।

গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের প্রতি কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। এতে এক সপ্তাহেই ডিএসইর বাজার মূলধন ২১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা কমে গেছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৩০৭ দশমিক ২২ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে মাত্র ২০টির।

এমন পতনের বাজারেই গেল সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিটি কার্যদিবসেই এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের শেয়ার দাম বেড়েছে। এমনকি লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে কোম্পানিটির শেয়ার। ফলে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৩৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। টাকার অংকে বেড়েছে ৮ টাকা ৪০ পয়সা। গেল সপ্তাহের কোম্পানিটির শেয়ার দাম ২৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে ৩৩ টাকায় উঠেছে।

শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি গত ২৮ এপ্রিল চলমান হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসের (২০২১ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, নয় মাসের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৬২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে।

অপরদিকে, কোম্পানিটির লভ্যাংশ তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, সর্বশেষ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তার আগের হিসাব বছর ২০২০, ২০১৯, ২০১৮, ২০১৭, ২০১৭ এবং ২০১৬ সালেও কোম্পানিটি ১০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দেয়। তবে ২০১৫ সালে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৫৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ২৯ দশমিক ১৯ শতাংশ। বিদেশিদের কাছে কোম্পানিটির কোনো শেয়ার নেই।

অন্যদিকে, দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার কেনার ব্যাপক আগ্রহ দেখালেও যাদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার আছে, তাদের বড় অংশই বিক্রি করতে চাননি। ফলে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৫৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

গেল সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পঁচা বা ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ। এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম গেল সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এর পরের স্থানটিতে রয়েছে বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ১৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

এছাড়া দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা বঙ্গজ লিমিটেডের ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ, এফএএস ফাইন্যান্সের ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ফু-ওয়াং সিরামিকের ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ, বিচ হ্যাচারির ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালসের ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ দাম বেড়েছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: