facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

এনআরবিসি ব্যাংকের আইপিও আবেদন শুরু


০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বুধবার, ০৩:০৬  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ার বিজনেস24.কম


এনআরবিসি ব্যাংকের আইপিও আবেদন শুরু

১২ বছর পর পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হতে যাচ্ছে একটি ব্যাংক। ইলেক্ট্রনিক্স সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতিতে বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) চাঁদাগ্রহণ শুরু করছে এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা এই আবেদন করতে পারবেন।

ব্যাংক সূত্র জানায়, ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে ব্যাংকটি ১২০ কোটি টাকা মূল্যের ১২ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে। প্রতিটি শেয়ারের ইস্যু মূল্য ১০ টাকা। এই অর্থ দিয়ে সরকারি সিকিউরিটিজ কেনা, সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগ ও আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহ করা হবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং এনআরবিসি ব্যাংক সূত্র জানায়, ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতির এ চাঁদা গ্রহণে আবেদন করতে ইচ্ছুক প্রত্যেক যোগ্য বিনিয়োগকারীকে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিদ্যমান বাজারদরে অন্তত এক কোটি টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে। অংশগ্রহণকারী যোগ্য বিনিয়োগকারীদের আজ সকাল ১০টা থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টার মধ্যে তাদের সাবস্ক্রিপশনের পুরো অর্থ ও সাবস্ক্রিপশন ফি হিসেবে ৩ হাজার টাকা জমা করতে হবে।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল বলেন, ব্যাংকের সম্পদের মূল মালিক আমানতকারীরা। তাই ব্যাংকটিকে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করতে পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হতে যাচ্ছি। এতে আরেকটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীনে আমরা যাব। ফলে ব্যাংকের সুশাসন ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা আরও সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকটির মূল লক্ষ্য সাধারণ মানুষদেরকে সার্বিক সেবার আওতায় আনা। এজন্য শাখানির্ভর ব্যাংকিং ব্যবস্থার পাশাপাশি উপ-শাখা, বুথ ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ব্যাপকহারে প্রসার ঘটাচ্ছি। ইতোমধ্যে সারাদেশের ৫০০টিরও বেশি স্থানে আমাদের ব্যাংক সেবা দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলনের বিষয়ে গত বছরের ১৮ নভেম্বরে বিএসইসির অনুমোদন পায় এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড। চলতি মাসের শুরুতে ব্যাংকটি আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার ইস্যু ও সংক্ষিপ্ত প্রসপেক্টাস প্রকাশের জন্য কমিশনের কাছ থেকে সম্মতিপত্র পায়। ব্যাংকটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড। ব্যাংকটির নিরীক্ষক হিসেবে রয়েছে কেএম হাসান অ্যান্ড কোম্পানি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস।

ব্যাংকটি ২০১৩ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওই বছরের ২ এপ্রিল কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ব্যাংকটির ৮৩টি শাখা, বিআরটিএ, ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিসের বুথসহ ৪০০টি উপশাখা এবং ৫৮৯টি এজেন্ট শাখা রয়েছে।

সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১৩ টাকা ৮৬ পয়সা। গত পাঁচ বছরের ভারিত গড়হারে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৫ পয়সা। সর্বশেষ হিসেবে, গত বছর শেষে ব্যাংকটির আমানত দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা এবং ঋণের পরিমাণ ৭ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা। গত বছরের মুনাফা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আগের বছর প্রকৃত মুনাফা ছিল ১১৫ কোটি টাকা।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: