facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

এক ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাড়ছে যেসব কোম্পানির শেয়ার দর


২০ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার, ০১:৩৪  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


এক ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাড়ছে যেসব কোম্পানির শেয়ার দর

সার্বিকভাবে মিশ্রধারা ছিল গতকাল সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর লেনদেনে। গতকাল ডিসেম্বরে হিসাব বছর শেষ হয় এমন কোম্পানিগুলোর অধিকাংশের দর ও লেনদেন কমেছে। ঠিক বিপরীত অবস্থা দেখা গেছে জুনে আর্থিক হিসাব শেষ হওয়া কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে।

বাজার সংশ্নিষ্টরা জানান, নীতিনির্ধারণী ইস্যুতে বড় কোনো পরিবর্তন না থাকলে মে-জুন থেকে কৌশলী বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জুনে হিসাব বছর শেষ হয় এমন সব কোম্পানিতে বিনিয়োগ শুরু করেন। এ ধারা দৃশ্যমান হয় জুলাই থেকে। লভ্যাংশ ঘোষণার সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। ঠিক বিপরীত অবস্থা দেখা যায়, ডিসেম্বরে হিসাব বছর শেষ হয় এমন কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে।

তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্যাংক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা কোম্পানিগুলোর হিসাব বছর শেষ হয় ডিসেম্বরে। একমাত্র ব্যতিক্রম আইসিবির হিসাব বছর শেষ হয় জুনে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর বাইরে উৎপাদন ও সেবামুখী সব খাতের কোম্পানিগুলোর হিসাব বছর শেষ হয় জুনে।

গতকালের ডিএসইর সার্বিক লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ১৫২ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের বাজারদর বেড়েছে, কমেছে সমান সংখ্যকের দর এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৮টির। এর মধ্যে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা খাতের ২৬ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ৫৪টির দর। এ ছাড়া ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২৭টিরই দর কমেছে, বেড়েছে মাত্র তিনটির।

তবে উৎপাদন ও সেবামুখী বাকি ১৫ খাতের লেনদেন হওয়া ২১৬ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ১২৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ৭১টির। এর মধ্যে বস্ত্র, প্রকৌশল, সিমেন্ট এবং সিরামিক খাতের গড় শেয়ারদর বেড়েছে বেশি। যদিও জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের বেশিরভাগ শেয়ার দর হারিয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ ব্যাংক খাতের আট কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৪টি দর হারিয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের পাঁচটির দর বেড়েছে, কমেছে ১১টির। বীমা খাতের ১৩ শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২৯টি দর হারিয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ড খাতের মাত্র তিন ফান্ডের বাজারদর বেড়েছে, কমেছে ২৭টির। ডিএসইতে দর হারানোর শীর্ষে ছিল অধিকাংশ ফান্ড। অন্যদিকে প্রকৌশল খাতের ২৬ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে আটটির দর। ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০টির। বস্ত্র খাতের ৩২ শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১২টির। সিমেন্ট খাতের পাঁচ শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে দুটির।

শুধু শেয়ারদর নয়, লেনদেনও একই চিত্র মিলেছে। গতকাল ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা এবং মিউচুয়াল ফান্ড খাতে লেনদেন হয়েছে ১০৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার ও ফান্ড, যা গতকালের ডিএসইর মোট লেনদেনের ২২ শতাংশ। ডিএসইতে গতকাল মোট ৪৮৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। রোববার ডিএসইর লেনদেনে এসব শেয়ারের অংশ ছিল মোটের সাড়ে ২৫ শতাংশ।

অন্যদিকে বহুজাতিকসহ জুনে সমাপ্ত হয় এমন ২১৬ কোম্পানির মোট ৩৭৮ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের প্রায় ৭৮ শতাংশ। রোববার এ হার ছিল সাড়ে ৭৪ শতাংশ। পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, লেনদেন বেশি বেড়েছে বস্ত্র, প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন এবং সিমেন্ট খাতে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: