টানা দুই কার্যদিবসের পতনের পর অবশেষে দেশের শেয়ারবাজারে দেখা গেছে পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাজার, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আশাবাদ ফিরিয়ে এনেছে। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, সপ্তাহের বাকি দুই দিন যদি এই ইতিবাচক ধারা বজায় থাকে, তবে ডিএসইর প্রধান সূচক আবারও ৫ হাজার পয়েন্টের ওপর অবস্থান নিতে পারে এবং লেনদেনও বাড়বে।
বাজার-সম্পৃক্তরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার মনিটরিং আরও জোরদার হলে বড় ধরনের পতনের ঝুঁকি কমে যাবে। তাদের মতে, এখন কোনো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নয়—বরং বাজারবান্ধব নীতি গ্রহণই বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে। পাশাপাশি তারা বিনিয়োগকারীদের গুজব এড়িয়ে যাচাই-বাছাই করে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচকগুলোতে বেশ ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে। ডিএসইএক্স সূচক ৩৬.১৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,৯৫০.৯১ পয়েন্টে। ডিএসইএস বেড়েছে ১০.৩২ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১০.৫৭ পয়েন্ট। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৭৯ কোটি ৭ লাখ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কম হলেও বাজারে সক্রিয়তার লক্ষণ স্পষ্ট।
ডিএসইতে মোট ৩৮৮ কোম্পানির মধ্যে ২৮৫টির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ৫৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৭টির।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৫১ লাখ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৬৩ কোম্পানির মধ্যে ৮৭টির দর বেড়েছে, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৮টি। যদিও লেনদেন বাড়লেও সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১.৯২ পয়েন্ট কমে ১৩,৮৫২.৭৩ পয়েন্টে নেমে গেছে।
সামগ্রিকভাবে—দুই দিনের টানা পতনের পর বাজারের এই পুনরুদ্ধার বিনিয়োগকারীদের মনে ফিরিয়ে এনেছে আত্মবিশ্বাস। মার্কেট বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন—নিয়ন্ত্রক সংস্থা সঠিক দিক নির্দেশনা দিলে বাজার আবারও শক্ত অবস্থানে ফিরে যাবে।
