শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানি তাদের চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোথাও আয় বেড়েছে, কোথাও স্থিতিশীল থেকেছে, আবার কোথাও দেখা দিয়েছে লোকসান—বিনিয়োগকারীদের নজর এখন এই আপডেটগুলোতে।
মুন্নু ফেব্রিক্স: আয় অপরিবর্তিত, নগদ প্রবাহে বড় উন্নতি
মুন্নু ফেব্রিক্স প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ধরে রেখেছে আগের বছরের সমান ৩ পয়সায়। তবে সবচেয়ে বড় উন্নতি এসেছে নগদ কার্যকরী প্রবাহে। এ প্রান্তিকে কোম্পানির এনওসিএফপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৪ পয়সা, যা গত বছর ছিল মাত্র ৫ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৪২ পয়সা।
ওয়াটা কেমিক্যাল: ইপিএসে দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি
ওয়াটা কেমিক্যাল প্রথম প্রান্তিকে শক্তিশালী ফল দেখিয়েছে। কোম্পানিটির ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৩১ পয়সা। তবে নগদ কার্যকরী প্রবাহে চাপ দেখা গেছে—এনওসিএফপিএস কমে ৮৩ পয়সায় নেমে এসেছে, যা গত বছর ছিল ২ টাকা ২৭ পয়সা। কোম্পানির এনএভিপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ টাকা ৭৪ পয়সায়।
রহিমা ফুড: মুনাফা থেকে লোকসানে
রহিমা ফুড করপোরেশন এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ৫ পয়সা, যেখানে আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২০ পয়সা। নগদ কার্যকরী প্রবাহও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে—এনওসিএফপিএস ৫ পয়সা, যা গত বছর ছিল ৬৪ পয়সা। এ সময় কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৫২ পয়সা।
ইফাদ অটোস: লোকসান থেকে মুনাফায় প্রত্যাবর্তন
ইফাদ অটোসের প্রথম প্রান্তিকের ফল বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক বার্তা নিয়ে এসেছে। কোম্পানি লোকসান কাটিয়ে ইপিএসকে ৯ পয়সা পর্যন্ত উন্নীত করেছে, যেখানে গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২১ পয়সা। নগদ প্রবাহেও বড় উল্লম্ফন—এনওসিএফপিএস দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ১২ পয়সা, যা গত বছর ছিল মাইনাস ২ টাকা ১৮ পয়সা। এনএভিপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৬৬ পয়সায়।
























