ঢাকা   রোববার ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

৮৫ ব্রোকারেজ হাউসের সময় ফুরিয়ে আসছে, সফটওয়্যার চালু করতেই হবে

শেয়ারবাজার

শেয়ারবিজনেস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:০২, ২০ জুলাই ২০২৫

৮৫ ব্রোকারেজ হাউসের সময় ফুরিয়ে আসছে, সফটওয়্যার চালু করতেই হবে

দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের অধীনে থাকা ৮৫টি ব্রোকারেজ হাউসের জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বিএসইসির সভায় সিদ্ধান্ত হয়, যারা এখনো অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার চালু করেনি, তাদের অবশ্যই আগামী আগস্টের মধ্যে এই সফটওয়্যার চালু করতে হবে।

বিএসইসির তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ—ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)—মোট ২৯১টি ব্রোকারেজ হাউস রয়েছে। এর মধ্যে ইতোমধ্যেই ২৪৪টি হাউস নির্ধারিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার চালু করেছে। বাকি ৮৫টিকে নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৬টি হাউসকে চলতি জুলাই মাসের মধ্যেই, ২৭টি হাউসকে ১৫ আগস্টের মধ্যে এবং অবশিষ্টগুলোকে আগস্ট মাসের মধ্যেই সফটওয়্যার চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এই ৮৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৮টি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য, বাকি ৪৭টি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে সংযুক্ত।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিএসইসি প্রথমবারের মতো সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার (ব্যাক অফিস সিস্টেম বা বিওএস) চালুর উদ্যোগ নেয়। উদ্দেশ্য ছিল—ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও অর্থের সঠিক হিসাব নিশ্চিত করা এবং যেকোনো ধরনের গরমিল বা অস্পষ্টতা দূর করা।

প্রাথমিকভাবে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে সব ব্রোকারেজ হাউসকে এই সফটওয়্যার চালুর সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও, পরবর্তীতে বিভিন্ন হাউসের আবেদনে তা একাধিকবার পিছিয়ে দেওয়া হয়। তবে এবার আর কোনো ছাড় নয়—বিএসইসি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে সফটওয়্যার চালু না করলে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সিদ্ধান্তে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর মধ্যে নতুন করে কর্মতৎপরতা শুরু হয়েছে এবং পুঁজিবাজারে আরও স্বচ্ছতা ও বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।