ঢাকা   রোববার ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

একীভূত হচ্ছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংক, শুরু আলোচনা

একীভূত হচ্ছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংক, শুরু আলোচনা

 দেশের ব্যাংক খাতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়ম, দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে তৈরি হওয়া সংকটের বাস্তব চিত্র সামনে আসে সরকারের পতনের পর। বিশেষ করে পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংক—অত্যন্ত দুর্বল আর্থিক অবস্থায় রয়েছে। এদের সম্মিলিত ঋণের বড় অংশই খেলাপি, যার ফলে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতেও ব্যর্থ হচ্ছে অনেক ব্যাংক।

এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার উদ্যোগ নেয়। লক্ষ্য হলো—ব্যাংক খাতে আস্থা ফিরিয়ে আনা, অপচয় কমানো এবং একটি শক্তিশালী ইসলামী ব্যাংক গড়ে তোলা। তবে এতে যেমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তেমনি গ্রাহক ও কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগও দেখা দিয়েছে—আমানতের নিরাপত্তা ও চাকরি রক্ষা নিয়ে।


এদিকে, এক্সিম ব্যাংক মার্জারে অংশ নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে, যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী তাদেরও খেলাপির হার ও প্রভিশন ঘাটতি উদ্বেগজনক। আইএমএফের চাপ এবং একিউআর রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩০ শতাংশের বেশি খেলাপি থাকায় এসব ব্যাংক পুনর্গঠন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংক আশ্বস্ত করেছে—এই একীভূতকরণে কর্মী ছাঁটাই হবে না, কেবল অতিরিক্ত শাখা পুনর্বিন্যাস করা হতে পারে। সফলভাবে মার্জার সম্পন্ন হলে এটি দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী ব্যাংকে রূপ নেবে এবং ব্যাংক খাতের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে।