ঢাকা   শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২

খানখানাপুরে শহীদ আঃ গণির স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলেও

গ্রামবাংলা

মইনুল হক মৃধা, রাজবাড়ী

প্রকাশিত: ১৪:০৩, ১৯ জুলাই ২০২৫

খানখানাপুরে শহীদ আঃ গণির স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলেও

কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুরের আব্দুল গণির স্মরণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) জুম্মা নামাজের পর আব্দুল গণির বাড়ির পাশের মাঠে রাজবাড়ী সদর ও খানখানাপুর ইউনিয়ন বিএনপি'র আয়োজনে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার  জুমার নামাজের পর সদর উপজেলার খানখানাপুর নতুন বাজার এলাকায় আব্দুল গণির নিজ বাড়ির পাশের মাঠে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক এ্যাড. মো.  আসলাম মিয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হক উপস্থিত ছিলেন।

অন্যান্যদের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন গাজী, খানখানাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহীনুর রহমান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, নিহত আব্দুল গণির বাবা আব্দুল মজিদ শেখ স্ত্রী লাকী বেগম ও ছেলে আলামিন শেখ এবং মেয়ে।

বক্তব্য শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আব্দুল গণির রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন, চরখানখানাপুর ঈদগাহ মসজিদ ও মাদ্রাসার ইমাম হাফেজ দেলোয়ার হোসেন। এ সময় জেলা বিএনপি এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা, নিহত আব্দুল গণির পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।

শহীদ গণির স্ত্রী লাকি বেগম বলেন, আমার একটা ছেলে ও একটা মেয়েকে রেখে তার বাবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। অন্তবর্তী সরকারের কাছে আমার দাবী আমার সন্তানরা যেন মাথা উঁচু বাঁচতে পারে।

এ্যাড. মো. আসলাম মিয়া বলেন, ঢাকায় কোটা আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় আমার এলাকার আব্দুল গণি শেখ। তার মৃত্যুতে তার পরিবারে অসহায়ত্ব নেমে আসে। আমরা জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের আশ্বাস দিয়েছি, আমরা তাদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো।

আজ জেলা বিএনপি ও সদর উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছি। এ ছাড়াও তার ছেলে ও মেয়ের পড়ালেখার খরচ আমরা বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

উল্লেখ্য- রাজধানীর গুলশানে-২ সিক্সসিজন নামক আবাসিক হোটেলের কারিগরি বিভাগে কাজ করতেন আবদুল গণি শেখ। গত ১৯ জুলাই সকালে ঢাকার উত্তর বাড্ডার গুপীপাড়ার বাসা থেকে কর্মস্থলের দিকে হেঁটে রওনা হন গণি। পথে শাহজাদপুর বাঁশতলা এলাকায় কোটা আন্দোলন ঘিরে চলমান সংঘাতের মধ্যে পড়েন তিনি। সংঘর্ষ চলাকালে তার মাথার ডান পাশে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় মরদেহ পড়ে থাকে তার।

মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে খানখানাপুর কেনদ্রীয় বড় মসজিদের কবরস্থানে কবর জিয়ারত করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারিয়া হক, এ্যাড. মো. আসলাম মিয়া ও তার দলীয় নেতৃবৃন্দরা।