২২ নভেম্বর ২০১৭ বুধবার, ০২:৩৮ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ছে। গত অক্টোবর মাসে এখাতের ১৮টি কোম্পানির মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ৯টি কোম্পানিতে, কমেছে ৫টিতে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টিতে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ডরিন পাওয়ার, জিবিবি পাওয়ার, খুলনা পাওয়ার, বারাকা পাওয়ার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালস, লিন্ডে বাংলাদেশ, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পাওয়ার গ্রীড এবং শাহজীবাজার পাওয়ারে।
অন্যদিকে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ঢাকা পাওয়ার সাপ্লাই (ডেসকো), ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, যমুনা ওয়েল, তিতাস গ্যাস এবং ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনে।
অপরদিকে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ অপরিবর্তিত রয়েছে বিডি ওয়েল্ডিং (২.৮৮ শতাংশ), পদ্মা ওয়েল (৩২.৯৭ শতাংশ), এমজেএল (বাংলাদেশ) লিমিটেড (১.৪৭ শতাংশ) এবং সামিট পাওয়ারে (২৫.১৫ শতাংশ)।
যেসব কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে:
ডরিন পাওয়ার : ৩০ সেপ্টেম্বর’ ২০১৭ তারিখে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৭.৮৬ শতাংশ। ৩১ অক্টোবর’ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮.৪০ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৫৪ শতাংশ।
জিবিবি পাওয়ার : ৩০ সেপ্টেম্বর’ ২০১৭ তারিখে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১২.০২ শতাংশ। ৩১ অক্টোবর’ তা বেড়ে দাঁড়ায় ১২.৩৩ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৩১ শতাংশ।
খুলনা পাওয়ার : ৩০ সেপ্টেম্বর’ ২০১৭ তারিখে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৬.২৬ শতাংশ। ৩১ অক্টোবর’ তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭.৫১ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১.২৫ শতাংশ।
বারাকা পাওয়ার : ৩০ সেপ্টেম্বর’ ২০১৭ তারিখে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৯.৫৬ শতাংশ। ৩১ অক্টোবর’ তা বেড়ে দাঁড়ায় ২০.৭৩ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১.১৭ শতাংশ।
সিভিও পেট্রোকেমিক্যালস : ৩০ সেপ্টেম্বর’ ২০১৭ তারিখে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৭.৭৬ শতাংশ। ৩১ অক্টোবর’ তা বেড়ে দাঁড়ায় ১.৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ২.১৮ শতাংশ।
লিন্ডে বিডি : ৩০ সেপ্টেম্বর’ ২০১৭ তারিখে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২৯.৪০ শতাংশ। ৩১ অক্টোবর’ তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯.৫০ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.১০ শতাংশ।
মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড : ৩০ সেপ্টেম্বর’ ২০১৭ তারিখে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৩১.২৬ শতাংশ। ৩১ অক্টোবর’ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩১.৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১.১৩ শতাংশ।
পাওয়ার গ্রীড : ৩০ সেপ্টেম্বর’ ২০১৭ তারিখে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৮.৬৭ শতাংশ। ৩১ অক্টোবর’ তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮.৭৭ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.১০ শতাংশ।
শাহজীবাজার পাওয়ার : ৩০ সেপ্টেম্বর’ ২০১৭ তারিখে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৩.০৭ শতাংশ। ৩১ অক্টোবর’ তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩.২৬ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.১৯ শতাংশ।
যেসব কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে:
ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন : ৩০ সেপ্টেম্বর’ ২০১৭ তারিখে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৩.৬৯ শতাংশ। ৩১ অক্টোবর’ তা নেমে আসে ৩.৬৮ শতাংশে। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ০.০১ শতাংশ।
ডেসকো : ৩০ সেপ্টেম্বর’ ২০১৭ তারিখে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২০.১৮ শতাংশ। ৩১ অক্টোবর’ তা নেমে আসে ২০.১২ শতাংশে। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ০.০৬ শতাংশ।
যমুনা ওয়েল : ৩০ সেপ্টেম্বর’ ২০১৭ তারিখে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২২.০৬ শতাংশ। ৩১ অক্টোবর’ তা নেমে আসে ২১.০৬ শতাংশে। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ১ শতাংশ।
তিতাস গ্যাস : ৩০ সেপ্টেম্বর’ ২০১৭ তারিখে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৩.৪৪ শতাংশ। ৩১ অক্টোবর’ তা নেমে আসে ১৩.৩৬ শতাংশে। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ০.০৮ শতাংশ।
ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস : ৩০ সেপ্টেম্বর’ ২০১৭ তারিখে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২৫.৭১ শতাংশ। ৩১ অক্টোবর’ তা নেমে আসে ২৫.১৩ শতাংশে। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ০.৫৮ শতাংশ।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।