০৬ জুলাই ২০১৯ শনিবার, ০২:০৬ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের একটি সাবসিডিয়ারি এবং দুটি সহযোগী কোম্পানি রয়েছে। ৩১ মার্চ ২০১৯ শেষে এ তিন কোম্পানির মোট রিটেইনড আর্নিংস হয়েছে ৮০ কোটি ২৭ লাখ টাকা। বার্জারের নিরীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা যায়।
বার্জারের সাবসিডিয়ারি ও সহযোগী তিন প্রতিষ্ঠান হলো জেনসন অ্যান্ড নিকলসন (বাংলাদেশ) লি., বার্জার বেকার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং বার্জার ফরসক লিমিটেড। এর মধ্যে বার্জার ফরসক গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে এসেছে। কোম্পানিটি মাত্র সাত মাসে ৭৪ লাখ টাকা মুনাফা করেছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বার্জার পেইন্টসের সাবসিডিয়ারি জেনসন অ্যান্ড নিকলসন (বাংলাদেশ) লি.। বার্জারের সম্পূর্ণ মালিকানায় থাকা এ কোম্পানিটি ১৯৯৫ সাল থেকে টিন কনটেইনার এবং প্রিন্টিং টি শিটের ব্যবসা করছে। জেনসন অ্যান্ড নিকলসনের পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি ১ লাখ টাকা। ৩১ মার্চ ২০১৯ সমাপ্ত হিসাব বছর পর্যন্ত এ কোম্পানির রিটেইনড আর্নিংস হয়েছে ৪৮ কোটি ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। আর ব্যবস্থাপনা ফি বাবদ বার্জারের আয় হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটির রাজস্ব এসেছে ৬১ কোটি ১২ লাখ টাকা এবং নিট মুনাফা হয়েছে ৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এর আগের বছর রাজস্ব হয়েছিল ৫৭ কোটি টাকা এবং নিট মুনাফা হয়েছিল ৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। উৎপাদন ও বিপণন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে।
বার্জার বেকার বাংলাদেশ লিমিটেড ২০১২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে রয়েছে। কোম্পানিটি কয়েল কোটিংয়ের ব্যবসা করছে। তাদের ৪৯ শতাংশ শেয়ারের মালিকানায় রয়েছে বার্জার পেইন্টস। কোম্পানিটির বাকি শেয়ার সুইডেনভিত্তিক বেকার ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোটিং হোল্ডিং এবির কাছে। এ কোম্পানিতে বার্জারের মোট বিনিয়োগ ৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আলোচ্য বছর পর্যন্ত কোম্পানিটির রিটেইনড আর্নিংস হয়েছে ৩১ কোটি ৪৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা। আর বার্জার ম্যানেজমেন্ট চার্জ হিসেবে তাদের কাছ থেকে আয় করেছে ২৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
এছাড়া ২০১৮ বছরে যুক্তরাজ্যের ফরসক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় বার্জার ফরসক লিমিটেড কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। এর ৫০ শতাংশ মালিকানা বার্জারের কাছে। এতে বার্জারের বিনিয়োগ হয়েছে ৪০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। কোম্পানিটি ২০১৮-এর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে। তারা মূলত নির্মাণ কেমিক্যাল উৎপাদন ও বাজারজাত করবে। ৩১ মার্চ ২০১৯ শেষে মাত্র সাত মাসে কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছে ৭৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। এ কোম্পানি থেকে ম্যানেজমেন্ট চার্জ হিসেবে বার্জারের আয় হয়েছে ১৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং মার্কেটিং সার্ভিস ফি হিসেবে আয় হয়েছে ২৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
এদিকে ৩১ মার্চ ২০১৯ সমাপ্ত হিসাব বছর শেষে বার্জার পেইন্টসের পণ্য বিক্রিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে তারা ১ হাজার ৭৭৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করেছে। এর আগের বছর ১ হাজার ৬৪৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছিল।
কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর এককভাবে নিট মুনাফা হয়েছে ১৯৫ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪২ টাকা ৭ পয়সা। এর আগের বছর নিট মুনাফা ছিল ১৬৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং ইপিএস ৩৬ টাকা ১ পয়সা। অর্থাৎ নিট মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ শতাংশ। ৩১ মার্চ শেষে এককভাবে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৬২ টাকা ৫৫ পয়সা।
এদিকে কোম্পানিটির সম্মিলিতভাবে কর পরিশোধের পর নিট মুনাফা হয়েছে ২০৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং ইপিএস ৪৪ টাকা ১৩ পয়সা। এর আগের বছর সম্মিলিতভাবে নিট মুনাফা হয়েছিল ১৭৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা এবং ইপিএস ৩৮ টাকা ৫৫ পয়সা। ৩১ মার্চ কোম্পানিটির সম্মিলিতভাবে এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৭৬ টাকা ১৮ পয়সায়।
৩১ মার্চ ২০১৯ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বার্জার পেইন্টস। গেল বছর কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৪ টাকা ১৩ পয়সা।
এর আগে ৩১ মার্চ সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ ও ১০০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে বার্জার পেইন্টস। গেল বছর কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭৭ টাকা ১০ পয়সা। ৩১ মার্চ কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৮৪ টাকা ১১ পয়সায়।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।