facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

৭ কোম্পানির শেয়ারদরে ধস, তালিকাচ্যুতির শঙ্কায় আরো ৯টি


১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার, ০৯:৪৬  এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


৭ কোম্পানির শেয়ারদরে ধস, তালিকাচ্যুতির শঙ্কায় আরো ৯টি

জেড ক্যাটাগরির ইমাম বাটন, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, মেঘনা পেট ও মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক্ক কোম্পানির শেয়ারের বড় দরপতন হয়েছে। তালিকাচ্যুতির নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর এসব শেয়ারের বিক্রির চাপ এতটাই বেশি ছিল যে, গতকাল বুধবার এগুলো শুধু সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দরে কেনাবেচা হয়েছে। এমনকি বিপুলসংখ্যক বিক্রির আদেশের বিপরীতে লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল প্রায় ক্রেতাশূন্য। সব মিলে এগুলোর মাত্র সোয়া ছয় লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

শুধু উল্লেখিত চার কোম্পানি নয়, তালিকাচ্যুতির শঙ্কায় থাকা আরও অন্তত ৯ কোম্পানির শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দরে কেনাবেচা হয়েছে। এগুলো হলো- জুট স্পিনার্স, শ্যামপুর সুগার মিলস, তাল্লু স্পিনিং, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আরামিট সিমেন্ট, সিএনএটেক্স, দুলামিয়া কটন, সমতা লেদার ও ঝিলবাংলা সুগার মিলস। যদিও এর প্রথম তিনটি ছাড়া বাকি ছয়টি লেনদেনের শেষাংশে এসে কিছুটা দর ফিরে পেয়েছে। তালিকাচ্যুতির এ সিদ্ধান্তের খবরে গতকাল জেড গ্রুপের ১০ শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ২৭টি দর হারিয়েছে। তাছাড়া পুরো লেনদেনেও এর প্রভাব ছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বেশিরভাগ শেয়ারের দর বেড়েছে। ডিএসইতে ১৬৯ শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ১৩৬টি দর হারিয়েছে। এর মধ্যে আর্থিক খাতের বেশিরভাগ শেয়ারের দরবৃদ্ধি সূচককে ঊর্ধ্বমুখী রেখেছে।

অন্তত পাঁচ বছর শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ডিএসই কিছু কোম্পানিকে তালিকাচ্যুতির উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখিত চার কোম্পানিকে গত মঙ্গলবার তালিকাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসইর পর্ষদ। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বিএসইসির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। একই রকমের আরও ১০ কোম্পানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। সূত্র জানায়, আরও অন্তত দেড় ডজন কোম্পানির সার্বিক অবস্থাও পর্যবেক্ষণ করছে স্টক এক্সচেঞ্জটি।

জানতে চাইলে ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান বলেন, যেসব কোম্পানির বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত আসছে, সেগুলোর কোনটি একযুগেরও বেশি সময় বন্ধ। রুগ্‌ণ কোম্পানিগুলোর কয়েকটি নামেমাত্র চালু থাকলেও শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ পাচ্ছেন না। অথচ কোম্পানিগুলোর মালিকপক্ষ বহাল তবিয়তে আছেন। শেয়ারবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থেই ডিএসই এসব কোম্পানিকে চিহ্নিত করছে এবং ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। তবে কোনো কোম্পানি যদি বিদ্যমান পুরনো ধারা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করে, অর্থাৎ স্বাভাবিক ব্যবসা কার্যক্রম শুরু করে এবং শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয়, সেগুলোর বিষয়ে ডিএসই নমনীয় ভূমিকা নেবে বলে জানিয়েছেন মিনহাজ মান্নান। তিনি বলেন, আমরা চাই না কোনো কোম্পানি তালিকাচ্যুত হোক। আইনি পদক্ষেপের পরও কোনো কোম্পানি খারাপ অবস্থা থেকে ভালো অবস্থায় আসার চেষ্টা করলে তাকে স্বাগত জানানো হবে। যেমন তালিকাভুক্ত কেএন্ডকিউকে তালিকাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত ছিল। তবে কোম্পানিটি লভ্যাংশ দেওয়ার কারণে এ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে কেউ প্রতারণা করে লভ্যাংশ দিলে সেটির ফল ভালো হবে না।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: