facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

৬ নভেম্বর থেকে আমান কটনের বিডিং


০১ নভেম্বর ২০১৭ বুধবার, ০২:৪৯  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


৬ নভেম্বর থেকে আমান কটনের বিডিং

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৮০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যে যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের (ইআই) কাছ থেকে দর আহ্বান করেছে আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেড। কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণের জন্য ৬ থেকে ৯ নভেম্বর বিকাল ৫ পর্যন্ত দরপ্রস্তাব করতে পারবে ইআইরা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

স্টক এক্সচেঞ্জের ইলেকট্রনিক বিডিং প্লাটফরমের মাধ্যমে নিলামে অংশ নিতে ইচ্ছুক ইআইদের ৫ হাজার টাকা বিডিং ফি এবং বিডিং অ্যামাউন্টের ২০ শতাংশ টাকা ৫ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে ৯ নভেম্বর বেলা ২টার মধ্যে ডিপোজিট করতে হবে। ৯ নভেম্বর বিকাল ৫টায় বিডিং প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে। বিডিং পিরিয়ড শেষে অফার পিরিয়ড শুরু হবে।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতির নিয়ম অনুসারে, ইলেকট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এ কোম্পানির আইপিওতে তাদের জন্য নির্ধারিত শেয়ারের দরপ্রস্তাব করবে। সর্বশেষ যে দরে নির্ধারিত শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব আসবে, তা-ই হবে কাট-অফ প্রাইস। যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সে দরেই কোম্পানির শেয়ার কিনবেন। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে তা ১০ শতাংশ কম দামে বিক্রি করতে হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনক্রমে তখন নতুন করে চাঁদা গ্রহণ করবে আমান কটন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬১১তম সভায় আমান কটন ফাইব্রাসকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণের অনুমোদন দেয়া হয়। এ পদ্ধতিতে কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ৮০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করবে। মূলধনের অর্থ কারখানার নতুন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়, ব্যাংকঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ বাবদ ব্যয় করবে কোম্পানিটি। আইপিওর অর্থ উত্তোলনে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে কটন সুতার যে চাহিদা রয়েছে, বর্তমানে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এর ৬০ শতাংশের বেশি জোগান দিতে পারে না। আমরা মনে করি, কটন সুতার উত্পাদন বাড়ালে এ ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি নতুন করে চাহিদা সৃষ্টি হবে। এজন্য কারখানায় নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করতে হবে। কারণ বিদ্যমান কারখানায় উত্পাদন সক্ষমতার প্রায় সবটাই ব্যবহার করছি আমরা।
সক্ষমতা সম্প্রসারণের পাশাপাশি কোম্পানির স্বচ্ছতা বাড়ানোও আইপিওতে আসার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রুপের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান আমান ফিড বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করেছে। আশা করছি, তালিকাভুক্ত হলে আমান কটনও বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করতে পারবে।

কোম্পানির আইপিও প্রসপেক্টাস থেকে জানা যায়, আমান কটন মূলত সুতা উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান। কটন, পলিয়েস্টার, সিল্কসহ অন্যান্য ফাইবার উত্পাদন করে তারা। গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত আমান কটন ফাইব্রাসের কারখানায় পরীক্ষামূলক উত্পাদন শুরু হয় ২০০৬ সালে। ২০০৭ সালে পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক উত্পাদনে যায় তারা। কারখানার বর্তমান উত্পাদন সক্ষমতা ৬ হাজার ১৯৫ টন। পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থের ৬৬ কোটি ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় ব্যবসা সম্প্রসারণে আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় ও সংযোজনে ব্যয় করবে কোম্পানিটি। বাকি অর্থের মধ্যে ঋণ পরিশোধে ১০ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার ও আইপিও বাবদ সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রাক্কলন করেছে আমান কটন।

২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে আমান কটনের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় ৩ টাকা ৩৮ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৩ টাকা ২১ পয়সা। কোম্পানির নিট সম্পদ রয়েছে ৪০৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার। শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৫ টাকা ৬৩ পয়সা। ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ছিল ৮০ কোটি টাকা।

আমান কটনের আইপিওর ইস্যু ব্যবস্থাপক আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: