০৯ জুন ২০১৭ শুক্রবার, ১০:০২ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় একটি মসজিদের ইমাম তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তাজুলের বিরুদ্ধে ব্রাক্ষণবাড়িয়া আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর মা।
অভিযুক্ত ব্যক্তি আখাউড়া পৌর শহরের শান্তিনগর বাইতুল মোকাররম জামে মসজিদের ইমাম পদে চাকরি করেন।
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিচার চাওয়ায় স্কুলছাত্রীর নানাকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে।
ওই স্কুলছাত্রীর নানা বলেন, ‘ঘটনাটি তারা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও মাতব্বরদের জানালে তারা কোনো গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো আমাদের অপমান করেছেন। একই সঙ্গে ১০ দিনের সময় দিয়ে এলাকা ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।’
অভিযুক্ত ইমাম তাজুল ইসলাম ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ‘মেয়েটিকে শুধু আঙ্গুল টানতে বলেছিলাম। অন্য কিছু করিনি।’ তিনি বলেন, ‘আমাকে মসজিদ থেকে তাড়ানোর জন্য একটি চক্র এ নাটক সাজিয়েছে।’
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ মাস্টার বলেন, ‘ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ভিকটিমের পরিবার রাজি হয়নি।’
মামলার বিবরণে জানা যায়, মাওলানা তাজুল ইসলাম রোজার শুরু থেকে মসজিদের পাশে একটি কক্ষে প্রতিদিন দুপুরে এলাকার শিশুদের আরবি পড়ান। নানা বাড়িতে বেড়াতে আসা ব্রাক্ষণবাড়িয়ার পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া শিশুটিকে ক্লাসে পাঠানো হয়। গত ৩১ মে দুপুরে সে সেখানে যায়। পড়া শেষে মাওলানা তাজুল ইসলাম সবাইকে ছুটি দিয়ে শিশুটিকে থাকতে বলে। একপর্যায়ে রুমে একা হয়ে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
ছাত্রীর মা বলেন, না বোঝার মতো একটি অবুঝ মেয়েকে ওই ইমাম যে কাজটি করেছে এর প্রতিবাদ জানালে মসজিদ পরিচালনা কমিটির লোকজনের নির্দেশে তাকে মারধর করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আখাউড়া থানায় অভিযোগ দিতে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদালতে গিয়ে মামলার করার পরামর্শ দেন।
পরে গত সোমবার ব্রাক্ষণবাড়িয়া আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।