facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

৫ মাসে পোশাক খাতে আয় ১ হাজার ৪১৮ কোটি ডলার


০৫ ডিসেম্বর ২০১৮ বুধবার, ০৫:২০  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


৫ মাসে পোশাক খাতে আয় ১ হাজার ৪১৮ কোটি ডলার

চলতি অর্থবছরের (২০১৮-১৯) প্রথম পাঁচ মাসে রফতানি আয় হয়েছে এক হাজার ৭০৭ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। এ সময়ে পোশাক খাতে আয় হয়েছে এক হাজার ৪১৮ কোটি ৬২ লাখ ডলার।

৫ ডিসেম্বর বুধবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, রফতানি আয়ে সুখবর নিয়েই অর্থবছর শুরু হয়েছিল। ইতিবাচক সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া দেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতের আয় ধারাবাহিক উল্লম্ফনের পাশাপাশি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে আয় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। যার কারণে রফতানিতে বড় প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হচ্ছে।

ইপিবির পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৫২৩ কোটি ডলার। তবে এ সময়ে আয় হয়েছে এক হাজার ৭০৭ কোটি মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১২ দশমিক ০৭ শতাংশ।

এদিকে গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রফতানি আয় অর্জিত হয়েছিল এক হাজার ৪৫৬ কোটি মার্কিন ডলার। সেই হিসেবে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ।

একক মাস হিসেবে নভেম্বরে ৩৪২ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এটি গত বছরের নভেম্বরের চেয়ে ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি। গত বছরের নভেম্বরে রফতানি হয়েছিল ৩০৫ কোটি ডলারের পণ্য।

ইপিবির তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বরাবরের মতোই চলতি অর্থবছরে জুলাই-নভেম্বর সময়ে মোট রফতানি আয়ে বড় অবদান রেখেছে তৈরি পোশাক খাত। আলোচিত সময়ে এ খাত থেকে আয় হয়েছে এক হাজার ৪১৮ কোটি ৬২ লাখ ডলার। এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। এ হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে আয় বেড়েছে ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর গত পাঁচ বছরে দেশের পোশাক খাতের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে সবাই সচেতন। সংস্কারের এ ইতিবাচক উদ্যোগ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহল অবগত রয়েছে। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের পোশাক খাতের ওপর আস্থাশীল। যার কারণে এ খাতে রফতানি আয় বাড়ছে। তবে এটি আশানুরূপ নয়। কারণ আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছি না। বৈশ্বিক ক্রেতারা ন্যায্য মূল্য দিলে এ খাতে রফতানি প্রবৃদ্ধি আরও বেশি হত।

আলোচ্য সময়ে কৃষিপণ্য রফতানি করে আয় হয়েছে ৪৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৭৭ শতাংশ বেশি। প্লাস্টিক পণ্যের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৩০ শতাংশ। এ সময়ে আয় হয়েছে চার কোটি ৮৭ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৪ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি। তবে পাট ও পাটপণ্য রফতানি আয় ২২ শতাংশ কমেছে। এ খাতে আয় দাঁড়িয়েছে ৩৫ কোটি ১৫ লাখ ডলার। একইভাবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতের রফতানি আয়ও কমেছে। এ খাতে আয় হয়েছে ৪৩ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ শতাংশ কম।

গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে তিন হাজার ৬৬৬ কোটি ৮২ লাখ ডলার আয় হয়। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারই এসেছিল তৈরি পোশাক থেকে।

চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য রফতানি করে ৩৯ বিলিয়ন (তিন হাজার ৯০০ কোটি) ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার, যা গত অর্থবছরের চেয়ে চার শতাংশ বেশি।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: