facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

৩৫ কোম্পানির নিট মুনাফা ১৯৮ কোটি টাকা


১৫ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার, ০২:২৯  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


৩৫ কোম্পানির নিট মুনাফা ১৯৮ কোটি টাকা

বছরের প্রথম ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন) শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সাধারণ বীমা খাতের ৩৫ কোম্পানি নিট ১৯৮ কোটি টাকা মুনাফা করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ কোটি টাকা বা ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের জুনে দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে সাধারণ বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর প্রকাশিত অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) কোম্পানিগুলো প্রায় ১০০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে, যা গত বছরের তুলনায় সাড়ে ১৩ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে তুলনামূলক বেশি মুনাফা করেছে এ খাত। যদিও দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ খাতের ১৯ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে, কমেছে ১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে দুটি কোম্পানির। বছরের প্রথম ছয় মাসের হিসাবে ২৬ সাধারণ বীমা কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে, কমেছে বাকি নয়টির।

পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, গত জুন শেষে তালিকাভুক্ত ৩৫টি সাধারণ বীমা কোম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধন ছিল প্রায় এক হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে এদের মুনাফার পরিমাণ মূলধনের ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যা গত বছরের একই সময়ের ছিল ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। বছরের প্রথম ছয় মাসের হিসাবে মুনাফা বেড়েছে ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ১০ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

ইপিএস বেড়েছে :প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বছরের প্রথমার্ধে শেষে মুনাফা ও ইপিএস প্রবৃদ্ধিতে শীর্ষে ছিল প্রাইম ইন্স্যুরেন্স। গত বছরের প্রথম ছয় মাসে বীমা কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল মাত্র ছয় পয়সা। এ বছর যা ৬৪ পয়সায় উন্নীত হয়েছে। এছাড়া গত বছর দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ কোম্পানির প্রতি শেয়ারে ২৯ পয়সা লোকসান থাকলেও এ বছর একই সময়ে মুনাফা হয়েছে ২০ পয়সা।

মুনাফায় প্রবৃদ্ধিতে এর পরের অবস্থানে রয়েছে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স। গত বছরের প্রথম ছয় মাসে এ কোম্পানির ইপিএস ছিল ৩৫ পয়সা, যা এ বছর একই সময়ে ৮৭ পয়সায় উন্নীত হয়েছে। একইভাবে দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস গত বছরের ২০ পয়সা থেকে বেড়ে ৫২ পয়সা হয়েছে।

মুনাফায় প্রবৃদ্ধিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স। গত বছরের প্রথম ছয় মাসে এ কোম্পানির ইপিএস ছিল ৮৪ পয়সা, যা এ বছর একই সময়ে এক টাকা ৩৩ পয়সায় উন্নীত হয়েছে। একইভাবে দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস গত বছরের ৪২ পয়সা থেকে বেড়ে এক টাকা ১৪ পয়সা হয়েছে। চতুর্থ অবস্থানে থাকা সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৬ মাসে ইপিএস ৪৪ পয়সা থেকে বেড়ে ৬২ পয়সায় উন্নীত হয়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে হয়েছে ১৭ পয়সা থেকে ২৮ পয়সা। পঞ্চম অবস্থানে থাকা ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের ছয় মাসের ইপিএস ২৯ পয়সা থেকে বেড়ে ৩৭ পয়সায় এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ পয়সা থেকে ২৩ পয়সা হয়েছে।

মুনাফায় প্রবৃদ্ধিতে পরের অবস্থানে থাকা স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস ৩৩ শতাংশ বেড়েছে। বছরের প্রথমার্ধের ইপিএস গত বছরের তুলনায় ২০ থেকে ২৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে কন্টিনেন্টাল, রিলায়েন্স, এশিয়া প্যাসিফিক, গ্লোবাল, প্রগতি এবং ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের। ইপিএসে ১০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে সোনার বাংলা, পূরবী, রিপাবলিক এবং পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের।

ইপিএস কমেছে :মুনাফায় থাকলেও গত বছরের তুলনায় ইপিএস কমেছে ৯ বীমা কোম্পানির। এগুলো হলো- মার্কেন্টাইল, নর্দান, পিপলস, সেন্ট্রাল, গ্রীন ডেল্টা, বাংলাদেশ জেনারেল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল, ফিনিক্স এবং তাকাফুল ইন্স্যুরেন্সের। এর মধ্যে ইপিএস কমার হারে মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স ছিল শীর্ষে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এ বীমা কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮০ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল এক টাকা ০১ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে এ কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে প্রায় ২১ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস গত বছরের ৩৩ পয়সা থেকে কমে ১৮ পয়সায় নেমেছে।

ইপিএস কমায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল নর্দান ইন্স্যুরেন্স। জুন শেষে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে এক টাকা ০৩ পয়সা, যা গত বছর ছিল এক টাকা ২৮ পয়সা। যদিও দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস গত বছরের ৩৪ পয়সা থেকে এ বছর ৪৯ পয়সা হয়েছে। তৃতীয় অবস্থানে থাকা পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস এক টাকা ৮৫ পয়সা থেকে কমে এ বছর এক টাকা ০৪ পয়সায় নেমেছে। ইপিএস কমেছে ১৮ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ৪৪ পয়সা থেকে কমে ৪০ পয়সায় নেমেছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: