facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

৩০০ কোটি টাকার শেয়ার কিনে বিপাকে অগ্রণী ব্যাংক


১৮ জানুয়ারি ২০১৭ বুধবার, ০২:৩০  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


৩০০ কোটি টাকার শেয়ার কিনে বিপাকে অগ্রণী ব্যাংক

বেক্সিমকো হোল্ডিংস লিমিটেডের করপোরেট গ্যারান্টিতে বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে ৩০০ কোটি টাকার শেয়ার কিনে সংকটে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড। ‘সেল অ্যান্ড বাই-ব্যাক এগ্রিমেন্টে’র আওতায় ক্রয়কৃত এসব শেয়ার মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে চার বছর আগেই। বর্তমানে সুদসহ এ বিনিয়োগের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪৮৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকায়, যার পুরোটাই খেলাপি হয়ে গেছে। বারবার তাগাদা সত্ত্বেও অগ্রণী ব্যাংকের সঙ্গে বেক্সিমকো হোল্ডিংস কোনো যোগাযোগ করছে না বলে দৈনিক বণিক বার্তার এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

এতে বলা হয়, বাই-ব্যাক পদ্ধতিতে শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে শর্ত ছিল ২০১২ সালের ৩১ জুলাইয়ের আগে এসব শেয়ার অগ্রণী ব্যাংকের কাছ থেকে ফেরত নেয়া হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে শর্ত ভঙ্গ করলেও বেক্সিমকোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি অগ্রণী ব্যাংক। উল্টো শেয়ারে বিনিয়োগকৃত এ অর্থ বেক্সিমকো হোল্ডিংসের নামে দীর্ঘমেয়াদি ঋণে রূপান্তর করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটি।

এ ব্যাপারে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামস-উল-ইসলাম বলেন, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মেয়াদে বেক্সিমকো হোল্ডিংস লিমিটেডের করপোরেট গ্যারান্টিতে ৩০০ কোটি টাকার শেয়ার কেনা হয়েছিল। সুদসহ বর্তমানে বিনিয়োগের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪৮৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকায়। বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করছি দীর্ঘমেয়াদি ঋণ হিসেবে রূপান্তর করে বেক্সিমকো থেকে অর্থ আদায় করা সম্ভব হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর শেয়ারবাজারে নিবন্ধিত ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেডের ৬২ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার ক্রিসেন্ট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের কাছ থেকে ক্রয় করে অগ্রণী ব্যাংক। প্রতিটি শেয়ার গড়ে ২০০ টাকা দরে মোট ১২৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনা হয়। এক্ষেত্রে করপোরেট গ্যারান্টর ছিল বেক্সিমকো হোল্ডিংস লিমিটেড। একই বছরের ১ ডিসেম্বর বেক্সটেক্স লিমিটেডের (বেক্সিমকো লিমিটেডে রূপান্তরিত) ৫২ লাখ শেয়ার নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে ক্রয় করে অগ্রণী ব্যাংক। এক্ষেত্রেও করপোরেট গ্যারান্টর ছিল বেক্সিমকো হোল্ডিংস লিমিটেড। সে সময় প্রতিটি শেয়ার গড়ে ২০৭ টাকা ৬৯ পয়সা দরে ১০৮ কোটি টাকার শেয়ার কেনে অগ্রণী ব্যাংক।

এর পর ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ক্রিসেন্ট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের কাছ থেকে বহুল আলোচিত জিএমজি এয়ারলাইনস লিমিটেডের ৬৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৯৭টি শেয়ার কেনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটি। শেয়ারপ্রতি গড় মূল্য ৩২ টাকা ৯০ পয়সা দরে মোট ২১ কোটি টাকার শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রেও করপোরেট গ্যারান্টর ছিল বেক্সিমকো হোল্ডিংস লিমিটেড। একইভাবে বেক্সিমকো হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে জিএমজি এয়ারলাইনসের ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৭৩টি শেয়ার ১১ কোটি টাকায়, এপোলো ট্রেডিং লিমিটেড থেকে ৮৮ লাখ ১ হাজার ৭৬০টি শেয়ার ৩০ কোটি টাকায় ও ফার্মাটেক কেমিক্যালস লিমিটেড থেকে ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৩৫১টি শেয়ার ৫ কোটি টাকায় ক্রয় করে অগ্রণী ব্যাংক। সব মিলিয়ে জিএমজি এয়ারলাইনসের ৬৭ কোটি টাকার শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে করপোরেট গ্যারান্টর হয় বেক্সিমকো হোল্ডিংস লিমিটেড।

শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাই-ব্যাক পদ্ধতি হলো নির্দিষ্ট সময়ের পর যে কোম্পানির কাছ থেকে শেয়ার কেনা হয়েছে, সেই কোম্পানিটি বিক্রয়কৃত শেয়ার পুনরায় কিনে নেবে। এ সময়ে শেয়ার ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট হারে সুদ পাবে। সে হিসাবে বেক্সিমকো হোল্ডিংস লিমিটেডের করপোরেট গ্যারান্টিতে অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃক ক্রয়কৃত শেয়ারগুলো ২০১২ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, ক্রিসেন্ট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, বেক্সিমকো হোল্ডিংস লিমিটেড, এপোলো ট্রেডিং লিমিটেড ও ফার্মাটেক কেমিক্যালস লিমিটেডের ফেরত নেয়ার কথা। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান পরবর্তীতে অগ্রণী ব্যাংকের কাছ থেকে শেয়ারগুলো ফেরত নেয়নি। একই সঙ্গে নির্ধারিত হারে সুদও পরিশোধ করেনি।

 ২০১৬ সালের ডিসেম্বর শেষে সুদসহ বেক্সিমকো হোল্ডিংস লিমিটেডের কাছে অগ্রণী ব্যাংকের পাওনা দাঁড়ায় ৫৯২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেক্সিমকো পরিশোধ করেছে মাত্র ১০৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ফলে প্রতিষ্ঠানটির কাছে অগ্রণী ব্যাংকের নিট পাওনা ৪৮৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
অগ্রণী ব্যাংক ২০১০ সালে বেক্সিমকো লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার ২০৭ টাকা ৬৯ পয়সা দরে ক্রয় করলেও গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির সর্বশেষ শেয়ারদর ছিল ৩৭ টাকা ৪০ পয়সা। ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার ২০১০ সালে অগ্রণী ব্যাংক ক্রয় করেছিল ২০০ টাকায়। গতকাল কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৫৬ টাকা ৪০ পয়সা। এছাড়া অগ্রণী ব্যাংকের ক্রয়কৃত জিএমজি এয়ারলাইনসের বর্তমানে কোনো অস্তিত্বই নেই।

অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ বখত এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি চেয়ারম্যান পদে যোগদানের আগে এসব শেয়ার কেনা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণে পরবর্তীতে আমরা বেক্সিমকোকে পুনঃতফসিল করার সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু পুনঃতফসিলের খুব বেশি সুবিধা ব্যাংক এখনো পায়নি। অর্থ পরিশোধের জন্য পুনঃতফসিল করা হলেও সে অর্থের বড় অংশই এখনো অনাদায়ী থেকে গেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ঋণটি পুনঃতফসিল করা হয়েছিল। সেটি বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ীই করা হয়েছে। সুযোগ দেয়া সত্ত্বেও তারা আবারো খেলাপি হয়ে যাওয়াটা দুঃখজনক। এর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শক্ত অবস্থান নেয়া উচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় ভবিষ্যতে আমরা বড় ঋণগুলো আদায়ের ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেব। বড় খেলাপিরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ার কারণে অনেক সময়ই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যায় না। জিএমজি এয়ারলাইনসে বিনিয়োগ করে অনেক ব্যাংকই বেকায়দায় আছে।

শেয়ারবাজার থেকে বড় অংকের মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালে প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করে জিএমজি এয়ারলাইনস। এতে ১০ টাকার প্রতিটি শেয়ার ৪০ টাকা প্রিমিয়ামসহ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা নেয়া হয়। এ প্রক্রিয়ায় বাজার থেকে ৩০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানটি।

আইপিওর (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) আগে মূলধন বাড়াতে নির্দিষ্ট কিছু বিনিয়োগকারীর কাছে শেয়ার বিক্রি করতে পারে কোম্পানি। শেয়ারবাজারের পরিভাষায় একে প্রাইভেট প্লেসমেন্ট বলা হয়। কিন্তু কোম্পানিটি শেষ পর্যন্ত বাজারে তালিকাভুক্তির সুযোগ না পেলে প্লেসমেন্টের টাকা ফেরত দিতে হয়। একই সঙ্গে যত দিন টাকা আটকে রাখা হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের তার লভ্যাংশ দিতে হয়।

কিন্তু শেয়ারবাজার থেকে নেয়া ৩০০ কোটি টাকা সাত বছরেও ফেরত দেয়নি বেক্সিকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জিএমজি এয়ারলাইনস। মূলত আর্থিক প্রতিবেদন জালিয়াতি করে শেয়ারবাজার থেকে এ অর্থ তুলে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে কোম্পানিকে বাজারে তালিকাভুক্ত করেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে টাকার জন্য এখনো ঘুরছে কয়েক হাজার বিনিয়োগকারী।

অগ্রণী ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জিএমজির মতো একটি ভূঁইফোড় প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ক্রয় করা অগ্রণী ব্যাংকের জন্য নজিরবিহীন ঘটনা। যে কোম্পানিটি শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্তই হয়নি, তার শেয়ার কেনার মাধ্যমে মূলত ব্যাংকের অর্থ ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে। সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবদুল হামিদ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ৩০০ কোটি টাকা বেক্সিমকোকে দিয়ে দিয়েছেন।

সূত্রমতে, নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড ও ক্রিসেন্ট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের কাছ থেকে সেল অ্যান্ড বাই-ব্যাক এগ্রিমেন্টের আওতায় ২৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অগ্রণী ব্যাংক ক্রয় করলেও তার মালিকানা কখনই হস্তান্তর করেনি প্রতিষ্ঠান দুটি। এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংকের তৈরি করা প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, ‘ক্রয়কৃত শেয়ারগুলো কাগজি শেয়ার। ব্যাংকের নামে শেয়ারগুলো হস্তান্তর করা হয়নি। ব্যাংকের নামে কোনো মালিকানা বা বিক্রয়স্বত্বও নেই বিধায় শেয়ারগুলোর বাজারমূল্য শূন্য ধরা হয়েছে।’

এছাড়া জিএমজি এয়ারলাইনস লিমিটেডের ক্রয় করা শেয়ারগুলোর অগ্রণী ব্যাংকের অনুকূলে হস্তান্তর করা হলেও এর মূল্যমান শূন্য। কারণ জিএমজি এয়ারলাইনসের আইপিও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক অনুমোদন দেয়া হয়নি। কোম্পানিটির সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় জিএমজির কাগজি শেয়ারের কোনো মূল্য নেই।

তবে ক্রয়কৃত শেয়ারের বিপরীতে বেক্সিমকো লিমিটেডের ১ কোটি ৫৩ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার ও সাইনপুকুর সিরামিকসের ৯৯ লাখ শেয়ার অতিরিক্ত জামানত হিসেবে নিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। জামানতের শেয়ার অগ্রণী ব্যাংকের বিও হিসাবে (নং ১৬০৫১১০০০০১৩৬৬২৪) প্লেজ করা আছে। বাই-ব্যাক চুক্তির আওতায় ক্রয়কৃত বেক্সিমকো লিমিটেডের ৫২ লাখ ও ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেডের ৬২ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার সিডিবিএল প্রক্রিয়ায় অগ্রণী ব্যাংকের বিও হিসাবে জমা হলে এর মূল্যমান বিবেচনাযোগ্য হবে বলে ব্যাংকটির নিজস্ব প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্প্রতি বেক্সিমকো হোল্ডিংসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অগ্রণী ব্যাংক ক্রয়কৃত শেয়ার দীর্ঘমেয়াদি ঋণে রূপান্তর করার প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দিয়েছে। তবে অগ্রণী ব্যাংকের চাহিদামতো ৪০০ শতাংশ জমি জামানত হিসেবে বন্ধক দিলে তবেই ক্রয়কৃত শেয়ারকে মেয়াদি ঋণে রূপান্তর করা হবে বলে ব্যাংক-সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা এ প্রসঙ্গে বলেন, কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক বড় ঋণগুলো পুনঃতফসিল করার কিছু সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছিল। নির্দিষ্ট কোনো ঋণের জন্য এ সুযোগ দেয়া হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক এমন কিছু অনুমোদন দেয়নি, যে বিষয়টি অগ্রণী ব্যাংক চায়নি। অগ্রণী ব্যাংক থেকে যে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে, সেটি যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিমালার মধ্যে থেকে অনুমোদন দিয়েছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: