facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৪

Walton

৩০% শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানির জন্য হচ্ছে আলাদা ক্যাটাগরি


০৮ জুলাই ২০১৯ সোমবার, ০২:৩৫  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


৩০% শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানির জন্য হচ্ছে আলাদা ক্যাটাগরি

 

তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতীত উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জে আলাদা ক্যাটাগরি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। এ মাসের মধ্যেই দুই স্টক এক্সচেঞ্জে আলাদা ক্যাটাগরি গঠন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিএসইসির পক্ষ থেকে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ২১ মে কমিশনের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুসারে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। এ অবস্থায় তালিকাভুক্ত কোম্পাানির স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতীত উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর জন্য দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে তাদের সংশ্লিষ্ট ট্রেডিং বোর্ডে আলাদা একটি ক্যাটাগরি গঠনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একজন কর্মকর্তা বলেন, কমিশনের কাছ থেকে শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর জন্য আলাদা ক্যাটাগরি গঠনের জন্য চিঠি পেয়েছি। এজন্য আমরা কাজও শুরু করেছি। এ মাসেই নতুন ক্যাটাগরি চালু করা হবে বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম ফারুক বলেন, বিএসইসির কাছ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়েছি। নতুন ক্যাটাগরি গঠনের জন্য কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, বিএসইসির ৬৮৭তম কমিশন সভায় উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানির বিষয়ে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতীত অন্য পরিচালক ও উদ্যোক্তারা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ না করলে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কোম্পানির শেয়ার বিক্রয়, হস্তান্তর কিংবা বন্ধক কার্যকর হবে না। তবে ঋণখেলাপি হলে বন্ধকি শেয়ার বাজেয়াপ্ত কিংবা মারা গেলে শেয়ার হস্তান্তর করা যাবে।

উদ্যোক্তা-পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ না করলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি রাইট শেয়ার অফার, রিপিট পাবলিক অফার (আরপিও), বোনাস শেয়ার, কোম্পানির একত্রীকরণ কিংবা অন্য কোনো উপায়ে মূলধন বাড়াতে পারবে না। তাছাড়া উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জ তাদের ট্রেডিং বোর্ডে আলাদা একটি ক্যাটাগরি গঠন করবে।

কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের বিপরীতে একজন ব্যক্তিকে পরিচালক হিসেবে মনোনীত করতে পারবে। ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থতায় পরিচালকের পদ শূন্য হওয়ার কারণে যে সাময়িক শূন্যতা তৈরি হবে, তা ২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে এমন শেয়ারহোল্ডারদের মধ্য থেকে পরিচালকের পদ শূন্য হওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পূরণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ এবং এককভাবে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের বিষয়টি নিয়ে ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর এ-সংক্রান্ত নোটিফিকেশন জারির পর থেকেই বিবাদ চলে আসছে। বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা-পরিচালক নোটিফিকেশনটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। তবে আইনি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত আপিল বিভাগের রায় বিএসইসির পক্ষে আসে। এরপর ন্যূনতম শেয়ার ধারণের বিষয়টি পরিপালনের বিএসইসির পক্ষ থেকে কোম্পানিগুলোকে তাগাদা দেয়া হলেও এখনো অর্ধশতাধিক কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকের কাছেই ন্যূনতম শেয়ার নেই।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: