facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

২৭ বছর আগে যুবতীর ইজ্জত বাঁচিয়েছিলেন মোদী!


০৩ মার্চ ২০১৭ শুক্রবার, ০৭:২৩  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


২৭ বছর আগে যুবতীর ইজ্জত বাঁচিয়েছিলেন মোদী!

১৯৯০ সালে রেলের পরীক্ষা দিতে লখনউ থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন দুই যুবতী। ট্রেনের কামরায় জনা ১২ ছেলে তাদের দিকে অস্বস্তিকর দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিলেন। ওইসব ছেলেদের কাছে কোনও রিজার্ভেশন ছিল না। তারা এ যুবতীদের সরিয়ে সেই জায়গায় ব্যাগ-পত্র রাখতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, তাদের লক্ষ্য করে অশ্লীল ভাষাও ছুঁড়ে দিতে থাকে, যাতে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে যান ওই দুই যুবতী। রাতটা কীভাবে কাটাবেন বুঝতে পারছিলেন না। অন্য যাত্রীদেরও বিশেষ কোনও হেলদোল ছিল না। উধাও হয়ে যান টিটিও।

কোনোভাবে রাতটা পার করেন তাঁরা। পরের দিন আরও একটা ট্রেন সফর। এবার দিল্লি থেকে গুজরাট। একজন ভয়ে দিল্লিতেই রয়ে গেলেন। অপর যুবতী ট্রেনে উঠলেন, তবে ছিল না কোনও রিজার্ভেশন। ওই যুবতীর সঙ্গে যোগ দেন আরও এক জন। টিকিট ওয়েটিং লিস্ট থাকার কারণে ভীষণ ভয় পাচ্ছিলেন তাঁরা। স্টেশনে পৌঁছে তারা ছুটল চার্ট দেখতে কিন্তু কিছুই লাভ হল না কারণ টিকিট কনফার্ম হয়নি। কর্মরত টিটিকে জানাল তাদের অসুবিধার কথা, টিটি বলল ট্রেনে উঠে বসলে পরে যদি কিছু করা যায়।

রাতের সফর। তার উপরে আগের ট্রেনে তাদের ভীষণ খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাই ভয়ে ভয়ে একটা কামরায় উঠে বসল তারা, তাদের সামনের সিটে দুজন ব্যক্তি বসেছিল ওদের উপর চোখ পড়তে আরও ভয় করতে লাগল কে জানে এরাও সেই আগের ট্রেনের লোকেদের মত কি-না? ওই দুই ব্যক্তির চোখে ওদের অস্বস্তি ধরা পড়ল। অবশেষে টিটি এসে জানাল কোনও সিট খালি নেই এই সিট দুটো ও পরের স্টেশনে ভরে যাবে। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা তাঁদের তখন। কিন্তু কিছু করার কোনও উপায় নেই।

এমন সময় ওই দুই ভদ্রলোক উঠেপড়ে সিট ছেড়ে দেন। কিছুক্ষণ পর তারা ফিরে এসে কামরার মেঝেতে একটা চাদর পেতে শুয়ে পড়ে। সকাল বেলা হকারদের শব্দে ওদের ঘুম ভাঙে। সেই সময় তাদের মধ্যে এক যুবক বলে ওঠেন, বোন আপনাদের কোনও অসুবিধা হয়নি তো? আর গুজরাতে কোনও দরকার পড়লেও নির্দিধায় জানাবেন। একথা শোনার পর ওই দুই যুবতী আশ্বস্ত হন। এরপর একজন যুবতী তাঁর পেন ও ডাইরি দিয়ে সেই দুই সহযাত্রীকে বলে ওঁদের নাম ও ঠিকানা লিখে দিতে। ওই দুই যুবক ট্রেন থেকে নেমে যাওয়ার পর তাঁরা দেখেন দুই যুবকের নাম নরেন্দ্র মোদী ও শঙ্কর সিং বাঘেলা।

সেই যুবতী আজ ভারতীয় রেলের ইনফরমেশন সিস্টেমের জেনারেল ম্যানেজার। লীনা শর্মা। ঘটনার বছর পাঁচেক পর আসামের এক সংবাদপত্রে এ গল্পটি লিখেছিলেন তিনি। লীনার কাছে তখন মোদী কিংবা বাঘেলা, দুজনেই অপরিচিত মুখ। এরপর বাঘেলা গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হন, পরে নরেন্দ্র মোদীও মুখ্যমন্ত্রী হন। তবে একদিন যে সেই নরেন্দ্র মোদীরই দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন সেকথা ভাবেননি রেলের এ অফিসার। পত্রিকায় এ গল্পটি লেখেন তিনি। শিরোনাম ছিল A train journey and two names to remember. আজও যতবার টিভি-তে দেখেন মোদীকে সেদিন রাতের সেই ব্যবহারের কথা ভুলতে পারেন না তিনি।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: