facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

১৮৫ প্রতিষ্ঠানের ৯,৮৮৪ কোটি টাকার লভ্যাংশ ঘোষণা


২২ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার, ০২:১১  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


১৮৫ প্রতিষ্ঠানের ৯,৮৮৪ কোটি টাকার লভ্যাংশ ঘোষণা

 

তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ঘোষিত নগদ লভ্যাংশের হার বাড়ছে তুলনামূলক শ্লথগতিতে। ১৮৫ প্রতিষ্ঠান শেয়ারহোল্ডারদের জন্য গত বছর ৯ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যা ২০১৬ সালের চেয়ে ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেশি। ওই বছর ১৯২ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৬২১ কোটি টাকা নগদ লভ্যাংশ দেয়। এ পরিমান ২০১৫ সালের তুলনায় ২২ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি।

২০১৫ সালে ঘোষিত নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৮৭৬ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা। ২০১৪ ও ২০১৩ সালে এ পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৭ হাজার ২২১ কোটি ও ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। এতে দেখা যাচ্ছে, গত কয়েক বছরের তুলনায় ২০১৭ সালে নগদ লভ্যাংশ বৃদ্ধির হার ছিল শ্লথ।

বার্ষিক নগদ লভ্যাংশের পরিমান আগের বছরের ব্যবসা পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি ধারণা দেয়। এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফায় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার ছাপ স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। দৃষ্টান্তস্বরূপ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে তুলে ধরেন তিনি। রাজনৈতিক সহিংসতা ও অনিশ্চয়তায় গোটা বছরজুড়ে ব্যাহত হয় ব্যবসা কার্যক্রম। রাজনৈতিক অস্থিরতায় ওই সময় বাংলাদেশ আনুমানিক ১৪০ কোটি ডলার লোকসানে পড়বে বলে জানিয়েছিল বিশ্বব্যাংক।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. ইসলাম আরো বলেন, গত বছরের রফতানিতে প্রবৃদ্ধির হার সন্তোষজনক নয়। তাই সেসময় রফতানিনির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যাশামাফিক মুনাফা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। তবে যতটা ধারনা করা হয়েছিল কোম্পানিগুলোর সার্বিক লভ্যাংশের পরিমান কিন্তু ততটা কমেনি। তারপরও ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের উচিত নগদ লভ্যাংশ বৃদ্ধির গতি শ্লথ হওয়ার পেছনের কারণ অনুসন্ধান করা, জানান ড. ইসলাম।

ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের এমডি ও সিইও মোহাম্মদ রহমত পাশা জানান, বছরজুড়ে সার্বিক নগদ লভ্যাংশ বেশি প্রভাবিত হয়েছে ব্যাংকিং ও টেক্সটাইল খাত ঘোষিত লভ্যাংশের কারণে। তিনি আরো বলেন, গত বছর কিছু ব্যাংক সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রত্যাশিত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারেনি। আর এ সময় রফতানি কমায় টেক্সটাইল কোম্পানিগুলোও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। ফলে সার্বিকভাবে ২০১৭ সালে নগদ লভ্যাংশ বৃদ্ধির হার কমেছে। কিন্তু তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো নগদ লভ্যাংশ বাড়ালে বিনিয়োগকারীরা আরো বেশি বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন।

ডিএসইর বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের বোনাস শেয়ার গত বছর বাদে কখনোই ঊর্ধ্বমুখী ছিল না। ২০১৭ সালে কোম্পানিগুলো ২ হাজার ৮০৭ কোটি টাকার বোনাস শেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ২০১৬, ২০১৫, ২০১৪ ও ২০১৩ সালে এর পরিমান ছিল যথাক্রমে ২ হাজার ৫০৮, ২ হাজার ৯৭৬, ২ হাজার ৯৫৯ ও ৩ হাজার ১৪১ কোটি টাকা।

লভ্যাংশ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ বলছে, গত বছর নগদ লভ্যাংশের পরিবর্তে অনেক প্রতিষ্ঠান বোনাস শেয়ারেই আস্থা রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে। তাই বোনাস শেয়ার ইস্যুর সংখ্যা বাড়লেও নগদ লভ্যাংশের অঙ্ক আগের মতো বাড়েনি। শুধু তাই নয়, গত বছর অনেক প্রতিষ্ঠানের সার্বিক লভ্যাংশের অঙ্ক কমেছে। রহমত পাশা বলেন, কোনো কোম্পানি পুনঃবিনিয়োগ হিসেবে বোনাস শেয়ার ইস্যু করলে তা ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক হবে। কিন্তু লভ্যাংশ প্রকৃত অর্থে নগদ লভ্যাংশই।

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: