facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

১৭টি আইপিও ও সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্য


১৬ জুলাই ২০১৮ সোমবার, ০৪:০৫  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


১৭টি আইপিও ও সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্য

চলতি অর্থবছরে (২০১৮-২০১৯) পুঁজিবাজার থেকে আইপিও, রাইট ইস্যু কিংবা বন্ডের মাধ্যমে ১৭টি কোম্পানির মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ৪ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগ করবে বলে চুক্তি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

আগস্টের প্রথম সপ্তাহে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ২০১৮-২০১৯ হিসাব বছরের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তিতে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে এসব লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব।

চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৮-২০১৯ হিসাব বছরে ১৭টি কোম্পানিকে আইপিও, রাইট, আরপিও এবং বন্ড বা ডিবেঞ্চারের মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হবে। এর আগের বছর ২০১৭-২০১৮ হিসাব বছরে ১৬টি কোম্পানি ও ২০১৬-২০১৭ হিসাব বছরে ১১টি কোম্পানিকে মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, চলতি হিসাব বছরে ইতিমধ্যে দুটি কোম্পানি- রানার অটোমোবাইলকে আইপিও’র মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা এবং বন্ডের মাধ্যমে সিটি ব্যাংককে ৭০০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এদিকে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নতুন করে ৪ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। এর আগের বছর পুঁজিবাজারে ৪ হাজার ৫১০ কোটি টাকা এবং ২০১৬-২০১৭ হিসাব বছরে ৪ হাজার কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ করা হয়েছিল।

পুঁজিবাজারের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে ট্রেড পরবর্তী ক্লিয়ারিং এন্ড সেটেলমেন্টে বিলম্ব এবং প্রশিক্ষিত বিনিয়োগকারীর অভাব রয়েছে।

তাই ২৭ জুন ২০১৯ এর মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের পৃথক ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট কোম্পানি গঠন করার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে।এছাড়া ২০ জুনের মধ্যে স্বল্প মূলধনী কোম্পানির ট্রেড প্লাটফর্ম এবং ১৪ হাজার ৫০০জনকে বিনিয়োগ শিক্ষা দেয়া হবে।

প্রতিবেদনে বিগত তিন বছরের অর্জনে বলা হয়েছে, পিুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ২৩টি কোম্পানিকে আইপিও; ১০টি কোম্পানিকে রাইট ইস্যু; ৬১টি কোম্পানিকে বন্ড ও ডিবেঞ্চার এবং ২০টি কোম্পানিকে প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু সহ ৩৮০টি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি ও ২৭২টি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিকে মোট ৬৭ হাজার ১৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা মূলধন তোলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: