facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

১১২৭ কোটি টাকা মূলধন তোলার অপেক্ষায় ২০ কোম্পানি


২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রবিবার, ০৭:০২  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


১১২৭ কোটি টাকা মূলধন তোলার অপেক্ষায় ২০ কোম্পানি

প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও প্রক্রিয়ায় শেয়ারবাজার থেকে ১১২৭ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলনের অপেক্ষায় রয়েছে ২০ কোম্পানি। কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন জমা দিয়েছে।

কমিশন সূত্র জানায়, এর মধ্যে আইপিওর নির্দিষ্ট মূল্য পদ্ধতিতে মূলধন উত্তোলনে চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে নাহী অ্যালুমিনাম। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে মূলধন উত্তোলনের অংশ হিসেবে আরও দুই কোম্পানি আমান কটন ফাইব্রাস ও বসুন্ধরা পেপার মিলস শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে।

বিএসইসি কর্মকর্তারা জানান, এই ২০ কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় প্রিমিয়ামসহ ৯০৫ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করতে চায় ১০ কোম্পানি। তাদের বিদ্যমান পরিশোধিত মূলধন ৮৫৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। বাকি ১০টি আইপিওর নির্দিষ্ট মূল্য পদ্ধতিতে ২২২ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহের জন্য আবেদন করেছে। তাদের বিদ্যমান পরিশোধিত মূলধন ৬০৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

নাহী অ্যালুমিনাম অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে দেড় কোটি শেয়ার বিক্রি করে মোট ১৫ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলনের অনুমতি পেয়েছে। আজ রোববার থেকে কোম্পানিটি বিভিম্ন ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আইপিও আবেদন ও চাঁদা সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এর বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৩৩ কোটি টাকা।

আমান কটন ফাইব্রাস ও বসুন্ধরা পেপার মিলস প্রিমিয়ামসহ ২৮০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করতে চায়। এর মধ্যে আমান কটন ফাইব্রাস ৮০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করবে। কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৮০ কোটি টাকা। এ ছাড়া বসুন্ধরা পেপার মিলস ২০০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। কোম্পানিটির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ১৪৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় এসটিএস হোল্ডিংস (অ্যাপোলো হাসপাতাল) ৭৫ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করতে চায়। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৫০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ৬০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে। এর পরিশোধিত মূলধন ৬০ কোটি টাকা।

অটোমোবাইল খাতের রানার অটোমোবাইলস ১০০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে। কোম্পানিটির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৯৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস ৭০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করতে চায়। এ কোম্পানিটির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ১১৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

সেবা খাতের কোম্পানি ডেল্‌টা হসপিটালের বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৩৩ কোটি ২১ লাখ টাকা। কোম্পানিটি প্রিমিয়ামসহ আরও ৫০ কোটি টাকার মূলধন বাড়াতে আবেদন করেছে। ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ বিদ্যমান ৩৯ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের বাইরে আরও ৪০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহের আবেদন করেছে। রিয়েল এস্টেট খাতের কোম্পানি শামসুল আল আমীন রিয়েল এস্টেট বিদ্যমান ৩৫ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের বাইরে আরও ৮০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করতে চায়। বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় মূলধন উত্তোলনে আগ্রহী অপর কোম্পানি এস্কোয়ার নিট কম্পোজিট প্রিমিয়ামসহ ১৫০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করতে চায়। এ কোম্পানিটির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা।

নাহী অ্যালুমিনিয়ামের বাইরে আইপিওর নির্দিষ্ট মূল্য পদ্ধতিতে মূলধন সংগ্রহে আগ্রহী কোম্পানিগুলো হলো- ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, ভিএফএস থ্রেড, কাট্টালি টেক্সটাইল, জেনেক্স ইনফোসিস, কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলস, এডভেন্ট ফার্মা, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স ও সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস। অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে দুই কোটি শেয়ার বিক্রি করে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং ২০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করতে চায়। একই দরে দুই কোটি করে শেয়ার বিক্রি করে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, জেনেক্স ইনফোসিস ও এডভেন্ট ফার্মা ২০ কোটি টাকা করে মূলধন সংগ্রহের আবেদন করেছে।

একইভাবে ভিএফএস থ্রেড দুই কোটি ২০ লাখ শেয়ার বিক্রি করে ২২ কোটি টাকা, কাট্টালি টেক্সটাইল তিন কোটি ৪০ লাখ শেয়ার বিক্রি করে ৩৪ কোটি টাকা, কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলস দেড় কোটি শেয়ার বিক্রি করে ১৫ কোটি টাকা, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স দুই কোটি ৬০ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার বিক্রি করে ২৬ কোটি ৮ লাখ টাকা ও সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস তিন কোটি শেয়ার বিক্রি করে মোট ৩০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহের জন্য বিএসইসির কাছে পরিকল্পনা জমা দিয়েছে।


কমিশনের শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানান, আবেদনকারী সব কোম্পানি আইপিও প্রক্রিয়ায় মূলধন উত্তোলনের অনুমতি পাবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ আবেদনের সঙ্গে দাখিল করা প্রয়োজনীয় নথিপত্রে অস্বচ্ছতা, ভুল বা আইনি দিক পরিপালন না করার কারণে আবেদন বাতিল হতে পারে। সম্প্রতি এমন কিছু আবেদন বাতিল হয়েছে।

সংস্থার মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, কমিশন যতটা দ্রুত সম্ভব আইপিও অনুমোদন দিতে আগ্রহী। এ ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো আবেদনের সময়ই পর্যাপ্ত ও যথাযথ তথ্য দিলে আইপিও আবেদন যাচাই-বাছাই করার কাজ কমিশনের জন্য সহজ হয়। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই কোম্পানিগুলো অসম্পূর্ণ তথ্য দেয় বলে আইপিও অনুমোদনে বেশি সময় লেগে যায়। এ কারণে চূড়ান্ত আবেদন জমা দেওয়ার আগে সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাকে দেখিয়ে তা জমা দেওয়ার বিধান করা হয়েছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: