facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

স্বল্পমূলধনি দুর্বল শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের ভীতি


২২ জুলাই ২০১৮ রবিবার, ১০:৩৬  এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


স্বল্পমূলধনি দুর্বল শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের ভীতি

কয়েক সপ্তাহের টানা পতন কাটিয়ে বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল একটি অবস্থায় পৌঁছেছে। এদিকে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ উৎপাদন বন্ধ থাকা দুটি স্বল্পমূলধনি কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করায় সপ্তাহের শেষ দিকে এসে দুর্বল মৌলভিত্তির স্বল্পমূলধনি শেয়ার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে। অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির এ পর্বে এসব শেয়ারে পুঁজি আটকে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এতে এসব শেয়ারে বিক্রয়াদেশ বেড়ে গেছে।

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সন্ধ্যায় দুটি কোম্পানি মডার্ন ডায়িং ও রহিমা ফুড করপোরেশনকে স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে তালিকাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। পরদিন এ ধরনের শেয়ারগুলোর চাহিদায় ভাটা পড়ে। অবশ্য বিষয়টিকে বাজার ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।

বিনিয়োগকারীসহ বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুর্বল মৌলভিত্তির কিছু কোম্পানির শেয়ারে ধারাবাহিকভাবে দরবৃদ্ধিতে হতাশ ছিলেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় গেল সপ্তাহে রহিমা ফুড ও মডার্ন ডায়িংকে তালিকাচ্যুত করায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে বাজারে। তবে এ তালিকায় আরো বেশ কয়েকটি কোম্পানির নাম যোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় কিছুটা আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে বাজারে। দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীরা টানা বিক্রয় প্রেসার দিলে সূচকে বড় ধাক্কা আসতে পারে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ সক্রিয় হলে বাজার ঠিক থাকবে বলে আশাবাদ সবার।

বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক পতনে দর অনেক কমে যাওয়ার পর বিভিন্ন ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানিতে ক্রয়াদেশ বাড়ছে। জুন ক্লোজিংয়ের ভালো কোম্পানিগুলোর প্রতিও আগ্রহ তৈরি হচ্ছে অনেক বিনিয়োগকারীর। তবে তা ব্রড ইনডেক্স বাড়াতে যথেষ্ট ছিল না। সপ্তাহ শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২১ পয়েন্ট কমার পাশাপাশি কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনও। প্রধান সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই)।

আগের সপ্তাহের নিম্নমুখী প্রবণতার ধারাবাহিকতা গেল সপ্তাহের শুরুর দিকেও অব্যাহত ছিল ডিএসইতে। বিনিয়োগকারীরা খুব বেশি সক্রিয় না থাকায় রোববার দিন শেষে প্রায় ২০ পয়েন্ট কমে যায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচক কিছুটা বাড়লেও তৃতীয় কার্যবিদসে আবারো পতনের মুখে সূচকটি। সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারো সূচকে উত্থান দেখা যায়। সপ্তাহের শেষ দিনে সূচক বাড়লেও ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে অনেক স্বল্পমূলধনি কোম্পানির দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ার। সপ্তাহ শেষে ঢাকার বাজারের প্রধান সূচক ২১ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫ হাজার ৩৫৮ পয়েন্টে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইএক্স কমেছে দশমিক ৪০ শতাংশ।

প্রধান সূচকের পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে ২ দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমেছে ডিএসই ব্লু-চিপ সূচক ডিএসই-৩০। গেল সপ্তাহ শেষে ১ হাজার ৯০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে সূচকটি, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৯০৬ পয়েন্টে। অন্যদিকে ৫ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ২৬৭ পয়েন্টে।

এদিকে সূচকের সঙ্গে দৈনিক গড় লেনদেনও কমেছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে। গেল সপ্তাহে গড় দৈনিক লেনদেন ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমেছে। গেল সপ্তাহে দৈনিক গড়ে লেনদেন হয় ৮৭৮ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার, ইউনিট ও বন্ডের হাতবদল হয়; আগের সপ্তাহে যা ছিল ৯৭০ কোটি ৪ লাখ টাকায়। পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৩৯০ কোটি ৯০ লাখ টাকা, আগের সপ্তাহে চার কার্যদিবসে যা ছিল ৪ হাজার ৮৫০ কোটি ২৫ লাখ টাকায়। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৩টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে সপ্তাহ শেষে দর বেড়েছে ১৩১টির, কমেছে ১৯৯টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১২টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: