facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

স্বতন্ত্র ক্লিয়ারিং হাউস গঠনে বৈঠকে বসছে ডিএসই-সিএসই-সিডিবিএল


১১ জুলাই ২০১৭ মঙ্গলবার, ১১:০৪  এএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


স্বতন্ত্র ক্লিয়ারিং হাউস গঠনে বৈঠকে বসছে ডিএসই-সিএসই-সিডিবিএল

দুই স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সব সিকিউরিটিজের (শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড, ডিবেঞ্চার প্রভৃতি) লেনদেন নিষ্পত্তির (সেটলমেন্ট) জন্য স্বতন্ত্র ক্লিয়ারিং ও সেটলমেন্ট ব্যবস্থা প্রবর্তনে গত ১৩ জুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটলমেন্ট) বিধিমালা ২০১৭ বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়। ২০১২ সালে উদ্যোগ নেওয়ার পাঁচ বছর পরে একটি স্বতন্ত্র ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটলমেন্ট পদ্ধতি প্রবর্তনের জন্য আইনি কাঠামো চূড়ান্ত হয়েছে। এখন এ বিধিমালার আওতায় একটি ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটলমেন্ট কোম্পানি গঠন করতে হবে। আর এ লক্ষে চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)। ওইদিন বিকালে ডিএসইতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান বলেন, নতুন বিধিমালার আওতায় একটি স্বতন্ত্র ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটলমেন্ট কোম্পানি গঠনে করণীয় নির্ধারণ ও মতবিনিময় করতেই এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। তবে মাত্রই আইনটি প্রণীত হয়েছে এবং এ বিষয়ে আমাদের আরো অনেক কাজ করার আছে। তাই একটি স্বতন্ত্র ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটলমেন্ট কোম্পানি গঠনে আরো সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটলমেন্ট) বিধিমালা ২০১৭ অনুযায়ী, সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টি ডিমিউচুয়ালাইজড আকারে গঠন করা হবে, অর্থাৎ এর মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদা থাকবে। এ কোম্পানির ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হবে ৩০০ কোটি টাকা, নিট সম্পদ কখনই পরিশোধিত মূলধনের ৭৫ শতাংশের নিচে নামতে পারবে না। তবে কমিশন সময়ে সময়ে নির্ধারিত ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন পর্যাপ্ততা সংরক্ষণের নির্দেশ দিতে পারবে।

তাছাড়া সিসিপির পরিশোধিত মূলধনের ৪৯ শতাংশের বেশি শেয়ার কোনো একক প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকতে পারবে না এবং স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃক একক কিংবা যৌথভাবে ন্যূনতম ২৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে।

সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টির শেয়ারধারণের বিষয়ে বলা হয়েছে, মোট ইস্যুকৃত এবং পরিশোধিত মূলধনের সর্বোচ্চ ৬৫ শতাংশ শেয়ার এক্সচেঞ্জগুলো যৌথভাবে ধারণ করতে পারবে; তবে কোনো এক্সচেঞ্জ এককভাবে ৪৯ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করতে পারবে না। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ শেয়ার যৌথ অথবা এককভাবে ধারণ করতে পারবে। তাছাড়া সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ শেয়ার ব্যাংকগুলো যৌথভাবে ধারণ করতে পারবে; তবে এককভাবে কোনো ব্যাংক ২ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করতে পারবে না।

এদিকে স্টক এক্সচেঞ্জের মতো সিসিপিতেও কৌশলগত বিনিয়োগকারীর ওপর জোর দেয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে পারবে কৌশলগত বিনিয়োগকারীরা। তবে এক্ষেত্রে কৌশলগত বিনিয়োগকারীকে অবশ্যই বিদেশী কোনো প্রতিষ্ঠান হতে হবে, যাদের সিসিপি, এক্সচেঞ্জ বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান-সংক্রান্ত কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটলমেন্ট কোম্পানির পর্ষদে ১৪ জন পরিচালক থাকবে, এর মধ্যে সাতজন হবেন স্বতন্ত্র পরিচালক। স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে তিনজন, ডিপোজিটরি থেকে একজন, ব্যাংক থেকে একজন এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারী থেকে একজন পরিচালক মনোনীত হবেন। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদাধিকার বলে পর্ষদে দায়িত্ব পালন করবেন।

২০১২ সালে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইনের সংশোধনীতে ক্লিয়ারিং ও সেটলমেন্ট পদ্ধতি চালু করার বিষয়টি সংযোজিত হয়। বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন নিষ্পত্তি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই ও সিএসই) পৃথক ‘ক্লিয়ারিং বিভাগ’-এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। এছাড়া সরকারি বন্ডের লেনদেন নিষ্পত্তি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে সিসিপি গঠন করা হলে এসব দায়িত্ব তাদের কাছে চলে যাবে। শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে অর্থ বা শেয়ার সংগ্রহ করে বিক্রেতাকে অর্থ এবং ক্রেতাকে শেয়ার সরবরাহ নিশ্চিত করাই ক্লিয়ারিং কোম্পানির মূল কাজ। এক্ষেত্রে ক্রেতার পক্ষে ব্রোকারেজ হাউজ অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হলে ক্লিয়ারিং কোম্পানি বিক্রেতাকে অর্থ প্রদানের নিশ্চয়তা দেয়।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: