১০ মার্চ ২০১৮ শনিবার, ০২:২৯ এএম
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
রাজধানীর পল্লবীতে স্ত্রী সুমি আক্তারকে (২২) খুন করে পালানো স্বামী সোহেল (২৫) র্যাব-৪ এর হাতে ধরা পড়েছে।
শুক্রবার (৯ মার্চ) রাতে র্যাবের গণমাধ্যম শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) দিবাগত রাতে নেত্রকোনা সদরের মদনপুরে গ্রেপ্তার হন সোহেল।
এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি পল্লবীর ব্লক-ডির একটি বাসার চতুর্থ তলা থেকে গৃহবধূ সুমির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
র্যাব জানায়, পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন সুমি ও সোহেল। তাদের সোহনা নামে ৮ মাসের কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে সুমি ও সোহেলের মধ্যে পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য চলতো। উভয় পক্ষের অভিভাবকরা একাধিকবার এ বিরোধ মিমাংসা করে দিলেও সোহেল সুমিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।
ঘটনার ২ মাস আগে তাদের মধ্যে বিরোধ চরম পর্যায়ে। সুমির বাবা আব্দুস ছোবহান সুমিকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। সুমি ও তার বড় বোন রিনা ঢাকায় একই রুমে থাকতেন। কিছুদিন পর সোহেল ঢাকায় এসে সুমির বাবা-মা ও স্বজনদেরর কাছে ভুল স্বীকার করেন। সুমির অভিভাবকরা সোহেলের কথায় বিশ্বাস করে তাদের একসঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। মাসখানেক সুমি ও সোহেল ভালোভাবে সংসার করেন।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পারিবারিক বিষয় নিয়ে সুমি ও সোহেলের মধ্যে পুনরায় তর্ক-বির্তক হয়। রাত ১১টার দিকে সুমির বাসায় গিয়ে তার বাবা ঝগড়া মিটিয়ে চলে যান। সুমির বড় বোন গার্মেন্টসে কাজ করার কারণে রাতের ডিউটিতে চলে যান। রাত ১টা থেকে ২টার দিকে সোহেল সুমিকে খুন করে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে পল্লবী থানায় গত ২ মার্চ একটি মামলা করেন। এরই সূত্র ধরে নেত্রকোনা থেকে ঘাতক সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল জানিয়েছে_ হত্যাকাণ্ডটি সে একাই ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রকৃয়াধীন বলেও জানিয়েছে র্যাব।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।