সেই পাঁচ যমজ শিশু ভর্তি হলো একই স্কুলে

নতুন বছরে নতুন বই হাতে শিক্ষা জীবন শুরু করলো গোপালগঞ্জের পাঁচ যমজ শিশু। নতুন বই হাতে পেয়ে স্কুলে বেশ আনন্দে কাটিয়েছে তারা।

সোমবার দুপুরে বাবা-মায়ের হাত ধরে তারা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৮১ নং করপাড়া মধ্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই সঙ্গে প্রাক-প্রাথমিক শিশু শ্রেণিতে ভর্তি হয়।

ওই পাঁচ যমজ শিশুর স্কুলে আসার খবরে তাদের দেখার জন্য বিপুল সংখ্যক অভিভাবক ভিড় করেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্কুলে তাদের বরণ করে নেন।

এরপর তাদের হাতে বই তুলে দিয়ে স্কুলের বই উৎসব শুরু হয়। এরা হলো- রুবাইয়া খান হীরা, রুশরা খান মনি, রামিসা খান মুক্তা, রাইসা খান মালা ও মাহির গফ্ফার মানিক।

এ সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার রায়, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান টিটো, তাদের বাবা করপাড়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গফ্ফার খান ও মা গৃহিণী সোমাইয়া খানমসহ অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

যজম ওই পাঁচ শিশু ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে নিজেদের নিয়োজিত করবে বলে অভিব্যক্তি প্রকাশ করে।
মা সোমাইয়া খানম সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন যাতে তার পাঁচ সন্তান ভালো মানুষ হতে পারে এবং তাদের মনবাসনা পূরণ হয়।

বাবা গফ্ফার খান বলেন, পাঁচ সন্তানকে একসঙ্গে স্কুলে ভর্তি করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। আমার সন্তানরা পড়াশোনা শেষ করে যাতে দেশ সেবায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে পারে, তার জন্য তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার রায় জানান, পাঁচ যমজ শিশু তার স্কুলে ভর্তি হয়েছে এ জন্য তিনি অনেক অনেক আনন্দিত। তাদের লেখাপড়ার প্রতি তিনি বিশেষ নজর রাখবেন বলেও জানান।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান টিটো বলেন, ওই ৫ যমজ শিশু যাতে সঠিকভাবে লেখাপড়া করতে পারে তার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

২০১২ সালের ২১ জুলাই সোমাইয়া খানম ও গফ্ফার খান দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করে ওই পাঁচ শিশু।