facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

সরকারের প্রচেষ্টায় শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ডিএসই


১৯ জানুয়ারি ২০১৭ বৃহস্পতিবার, ০৬:২২  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


সরকারের প্রচেষ্টায় শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ডিএসই

সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান।

সাম্প্রতিক সময়ের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার ডিএসইতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

মাজেদুর রহমান বলেন, গত কয়েক মাস ধরে বাজার ক্রমেই গতিশীলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা। এ অবস্থায় একটি টেকসই ও উন্নতমানের পুঁজিবাজারের জন্য বিনিয়োগকারীর সচেতনতা, মার্কেট স্টেকহোল্ডারদের নিয়মনীতি পরিপালনের বিকল্প নেই। সরকারসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বাজারে স্থিতিশীলতা, গতিশীলতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পুঁজিবাজারে বহুমুখী সংস্থার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর পক্ষ থেকে বাজারের উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, পুঁজিবাজারের বৈচিত্রতা আনতে বেশকিছু নতুন পণ্য চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ডিএসইর পক্ষ থেকে বিদ্যমান আইন-কানুন সঠিকভাবে পরিপালনে স্টেকহোল্ডারদের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সে সুবাদে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাজার সম্পর্কে আস্থা ও ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিদিনই পুরাতনদের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি নতুন বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকেই বাজারের স্থায়ী যৌক্তিক, গতিশীল, স্থিতিশীলতা চাই। ডিএসইর পক্ষ থেকে আমরা সব সময়ই বলি, কোম্পানির মৌলভিত্তি ইপিএস, এনএভি, পিই রেশিও, উদ্যোক্তা ইত্যাদি যাচাই করে বিনিয়োগ করুন। সচেতন বিনিয়োগকারীই বাজারের উন্নয়নের পূর্বশর্ত।

মাজেদুর রহমান বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদান তুলনামূলকভাবে কম। ডিএসই চেষ্টা করছে আগামী ৩ বছরের মধ্যে উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জিডিপিতে পুঁজিবাজারের মূল অবদান বাড়াতে। অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগতভাবে পুঁজিবাজার এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নত। এখনকার নিয়ম নীতিও অত্যন্ত কঠোর ও প্রায়োগিক। বর্তমানে বাজারে যে পরিমাণ লেনদেন হচ্ছে, তা সামলানোর সক্ষমতা এক্সচেঞ্জের আছে।

বহুজাতিক ও দেশীয় ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাহিদা মতো সরবরাহের উপর পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা নির্ভর করে। যেমন আর্থিক তারল্যের প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন ভালো শেয়ারের সরবরাহ নিশ্চিত করা। শুধু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ভারসাম্য আনা যথেষ্ট নয়। তাই বাজারের অতিরিক্ত চাহিদার কথা মাথায় রেখে বহুজাতিক কোম্পানিসহ রাষ্ট্রায়াত্ত্ব কোম্পানিগুলোর শেয়ার সরবরাহ বাড়ানো প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর চেয়ারম্যান বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, ডিএসই সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক রকিবুর রহমান, পরিচালক ড. আবুল হাশেম, পরিচালক রুহুল আমিনসহ স্টক এক্সচেঞ্জের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: