facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৪

Walton

সক্রিয় বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ জুয়ার শেয়ারে ঝুঁকছে


১৬ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার, ০৭:১১  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


সক্রিয় বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ জুয়ার শেয়ারে ঝুঁকছে

বাজার বিশ্নেষকরা মনে করেন, সক্রিয় বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ জুয়ার শেয়ারে ঝুঁকছে। পাশাপাশি বছরের জুনে আর্থিক হিসাব শেষ হওয়া কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা এবং আর্থিক প্রতিবেদনের কারণে কিছুটা অস্থিরতা বিরাজ করছে বলে মনে করেন বাজার-সংশ্নিষ্টরা। ফলে আইসিবির বন্ড বিক্রি এবং ডিএসইর কৌশলগত শেয়ার বিক্রির টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হলেও তার প্রভাব নেই।

দেশের অর্থনীতিতে এ মুহূর্তে বড় কোনো সংকট নেই। চলছে স্বাভাবিক ধারাতে। আবার আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দুই মাস আগেও রাজনৈতিক অঙ্গনে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা ছিল, তারও অবসান হয়েছে। সব দলের অংশগ্রহণে হতে যাচ্ছে নির্বাচন। কিন্তু এর ইতিবাচক প্রভাব নেই শেয়ারবাজারে। গত জুনের পর এখন পর্যন্ত একদিন বাড়লে পরদিনই পতন হচ্ছে।

গত ৩১ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত টানা দরপতন হয়। এরপর গত সপ্তাহের বুধবার দরপতনের ধারা থেকে বের হয়ে আসে বাজার। ঊর্ধ্বমুখী ধারা গত রোববার পর্যন্ত বহাল ছিল। এরপর পুরনো দরপতনের ধারায় ফিরে গেছে বাজার।

চলতি সপ্তাহের শেষ দিনেও প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে ১২৭ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়ালের দর বেড়েছে, কমেছে ১৪১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৩টির দর। বেশিরভাগ শেয়ারের দর কমলেও ডিএসইএক্স সূচক মাত্র ১ পয়েন্ট হারিয়ে ৫২৪৪ পয়েন্টে নেমেছে। দ্বিতীয় শেয়ারবাজার সিএসইতে ৯৫টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৯টির দর। ব্যাংক এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতের অধিকাংশ শেয়ারের দর কমেছে। ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা খাতের অধিকাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। অন্য সব খাতে ছিল মিশ্রধারা। দুই বাজারে কেনাবেচা হয়েছে সর্বমোট ৫৭৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার। এর মধ্যে ডিএসইতে ৫৫৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ মনে করেন, বাজারের এমন আচরণ বর্তমানে দেশের সার্বিক অবস্থার সঙ্গে মানানসই নয়। তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে যে অস্থিরতা ছিল, তার অনেকটাই কেটেছে। কিন্তু এর প্রভাব বাজারে নেই। আইসিবির বন্ড বিক্রির টাকা এবং চীনা জোটের কাছে কৌশলগত শেয়ার বিক্রির টাকাও পেয়েছেন ব্রোকাররা। ফলে এ দুই জায়গা থেকে বিনিয়োগ হচ্ছে। কিন্তু তার প্রভাব নেই।

এর কারণ ব্যাখ্যায় আবু আহমেদ বলেন, সবাই রাতারাতি বড় মুনাফা করতে চায়। সবাই জুয়ার `আইটেম` (শেয়ার) এর পেছনে ছুটছে। এতে রুগ্‌ণ ও স্বল্প মূলধনী কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ছে, এমনকি লেনদেনের ওপরের দিকে উঠে এসেছে। আবার বোনাস শেয়ারের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় অনেক শেয়ারের দর সংশোধনও বাজারে বিরূপ প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন তিনি।

ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী মনে করেন, লভ্যাংশ ঘোষণা এবং একসঙ্গে সব কোম্পানির প্রান্তিক হিসাব প্রকাশই বর্তমানের নিম্নমুখী ধারার প্রধান কারণ। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে জুনে আর্থিক হিসাব শেষ হয়- এমন কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা হয়েছে। এখন ওই লভ্যাংশ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট চলছে। এতে শেয়ারগুলোর দর সংশোধন হচ্ছে। আবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তৃতীয় প্রান্তিক এবং উৎপাদন ও সেবামুখী খাতের কোম্পানিগুলোর প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে। অনেকে পরিস্থিতি বুঝে উঠতে পারছেন না। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে লেনদেনে। শিগগিরই বাজার আবার ইতিবাচক ধারায় আসবে- এমনটাই আশা করছেন তিনি।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: