facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ১৮.৪৯%


১৯ নভেম্বর ২০১৭ রবিবার, ০১:২২  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ১৮.৪৯%

দেশের শেয়ারবাজারে গত অক্টোবরে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে। তালিকাভুক্ত ৩০০ কোম্পানিতে গত মাস শেষে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ধারণ করা শেয়ারের বাজার মূল্য ছিল ৫০ হাজার ১১৩ কোটি টাকা। যা গত সেপ্টেম্বরের তুলনায় ৪২০ কোটি টাকা কম। এসব কোম্পানির বাজার মূলধনে প্রাতিষ্ঠানিক অংশ ছিল ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সেপ্টেম্বরের তুলনায় এ হার শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ কম।

দেশের দুই শেয়ারবাজার ঢাকা ও চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ধারণের তথ্য পর্যালোচনায় এ তথ্য মিলেছে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ধারণ করা শেয়ার ও ওইদিনের সর্বশেষ বাজার মূল্য এ পর্যালোচনার উপাত্ত হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে মিউচুয়াল ফান্ড ও কর্পোরেট বন্ডে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ধরা হয়নি।

অবশ্য গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৩০০ কোম্পানির মধ্যে চারটি সর্বশেষ শেয়ার ধারণের তথ্য পাওয়া যায়নি। এগুলো হলো- জুট স্পিনার্স, সিএনএ টেক্সটাইল, ডেফোডিল কম্পিউটার্স ও বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন। এরমধ্যে সিএনএ টেক্সটাইল গত জুলাইয়ের পর থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য দিচ্ছে না।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর শেষে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির সব শেয়ারের বাজার মূল্য ছিল ৩ লাখ ৪৭ হাজার ২২৯ কোটি টাকা। এতে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের অংশ ছিল মোট বাজার মূলধনের ৫৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। সরকারের অংশ ছিল ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। বিদেশীদের অংশ ছিল ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের অংশ ছিল ১৯ দশমিক ১২ শতাংশ।

দেশীয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে ব্যাংক, ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা, মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকার ডিলার প্রতিষ্ঠান ও মিউচুয়াল ফান্ড উল্লেখযোগ্য। এছাড়া বাংলাদেশে নিবন্ধিত যেকোন কোম্পানির বিনিয়োগ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে গণ্য হয়। এমনকি বড় ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে যে শেয়ার কেনাবেচা করে, তাও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ হিসেবে ধরা হয়।

পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, শুধু বাজার মূলধন নয়, ধারণ করা শেয়ারের পরিমাণ বিবেচনায়ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে। অক্টোবর শেষে শেয়ারের অভিহিত মূল্য বিবেচনায় তাদের ধারণ করা শেয়ারের মূল্য ছিল ১০ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় ৩৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা কম।

অভিহিত মূল্যে তালিকাভুক্ত ৩০০ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন এখন ৫৭ হাজার ১৩২ কোটি টাকা। যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১৭১ কোটি ৪৯ কোটি টাকা বেশি। এক্ষেত্রে নতুন তালিকাভুক্ত আমরা নেটওয়ার্কসের মূলধনও যোগ হয়েছে। পাশাপাশি কিছু কোম্পানি বোনাস শেয়ার ইস্যুর কারণেও মূলধন বেড়েছে। সব কোম্পানির মূলধনে প্রাতিষ্ঠানিক অংশ ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। যা গত সেপ্টেম্বর শেষে ওই মাসের মোট শেয়ার বা মূধনের ১৮ দশমিক ৬১ শতাংশ ছিল।
পর্যালোচনায় তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে ১২৮টি কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে। বৃদ্ধির পরিমাণ মোট শেয়ারের শূন্য দশমিক শূন্য এক থেকে সর্বোচ্চ আট শতাংশ। তবে এক শতাংশের ওপর শেয়ার ধারণ বেড়েছে ৪৭টিতে। বিপরীতে ১১৫টিতে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে।
পর্যালোচনার তথ্য অনুযায়ী, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি ইনটেক অনলাইনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। গত অক্টোবর শেষে কোম্পানিটির মোট শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারে হার ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়ে ২১ দশমিক ৯৩ শতাংশে উšুীত হয়েছে।

এরপর কোম্পানির মোট শেয়ারে সর্বাধিক ৭ শতাংশ বেড়ে জেমিনি সী ফুডে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ শতাংশে, কহিনুর কেমিক্যালে প্রায় ৭ শতাংশ বেড়ে প্রায় ২১ শতাংশে, সালভো কেমিক্যালে সাড়ে ৬ শতাংশ বেড়ে ১৮ শতাংশের ওপরে, ওয়াটা কেমিক্যালে ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়ে সাড়ে ৩৭ শতাংশে, ইসলামী ব্যাংকে ৫ শতাংশের ওপর বেড়ে সোয়া ১০ শতাংশে, এফএএস ফাইন্যান্সে ২৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া মোট শেয়ারে সোয়া ৪ শতাংশ থেকে প্রায় ৫ শতাংশ বেড়েছে সিমটেক্স ও বিডি ফাইন্যান্সে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত মাসে প্রভাতি ইন্স্যুরেনেসর মোট শেয়ার থেকে সর্বাধিক ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার কমেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের। অক্টোবর শেষে কোম্পানিটিতে তাদের মোট শেয়ারের পরিমাণ ছিল ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। এরপর সর্বাধিক ৫ থেকে প্রায় ৬ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার ধারণ কমেছে উত্তরা ব্যাংক, শাহজালাল ব্যাংক, বিবিএস কেবলস এবং আমরা নেটওয়ার্কস থেকে। ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের মোট শেয়ার থেকে কমেছে ৪ শতাংশ।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: